পেলেন ‘ইউনিভার্সিটি অব নেপোলি ফেড্রিকো’তে ডাটা সাইন্সে স্নাতকোত্তরের সুযোগ
আবদুল মান্নান, স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার কৃতি সন্তান সানিয়াতুল নাঈমা হক হৃদি ইতালির ‘ইউনিভার্সিটি অব নেপোলি ফেড্রিকোতে ডাটা সাইন্সে স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ পেয়েছেন। পাহাড় কন্যা হৃদি জীবন গড়ার এই মাইলফলক সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশ ও নিজের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে চান। পরিবারে চলছে আনন্দের জোয়ার।
উপজেলার সাবেক ছাত্র নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. এনামুল হক এনাম এবং শিক্ষক রোমানা আফরোজ এর ৩ কন্যা সন্তানের সংসারে সানিয়াতুল নাঈমা হৃদি জ্যেষ্ঠ। সে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রামস্থ ‘ ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটি’তে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়।
২০২৪ সালে ৩.৪৬ পয়েন্ট পেয়ে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। এর পর নিজের জীবনে গড়তে এবং আধুনিক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বে খ্যাতি সম্পন্ন ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশীপ পেতে মনোযোগ দেয় হৃদি। এক পর্যায়ে ভার্চুয়াল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অনায়াসে স্বপ্ন জয়ের ঠিকানা খুঁজে পান।
ইতোমধ্যে ভিসা কমপ্লিট করে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইতালির উদ্দেশ্যে আকাশে উড়াল দেয় সানিয়াতুল নাঈমা হৃদি। গন্তব্যে পৌঁছার পর সেখানকার নতুন পরিবেশ, নতুন দেশ, নতুন ভাষা সবকিছু নিয়ে কথা হয় সানিয়াতুল নাঈমা হৃদি’র। সে জানায়, “বিদেশের এমন একটি পড়ার সুযোগ পাওয়া আমার জীবনের বড় একটি মাইলফলক।

সত্যি বলতে এখনও মাঝে মাঝে অবিশ্বাস লাগে, আমি সত্যিই এখানে আছি! ছোটবেলা থেকেই মনে ইচ্ছা ছিল নতুন কিছু শেখার, নিজেকে বড় পরিসরে গড়ে তোলার। সেই ইচ্ছাটাই আজ আমাকে ইতালিতে এনে দাঁড় করিয়েছে। পরিবার, বিশেষ করে বাবা–মায়ের পাশে থাকা, সাহস দেওয়া, সবসময় বিশ্বাস করা, এসব না থাকলে এত দূর পথ আমি কোনোদিনই আসতে পারতাম না।
ইতালিতে নতুন জীবন শুরু করেছি। ভাষা, মানুষ, পড়াশোনা সবই নতুন। তবুও শেখার আগ্রহ আর নিজের জায়গা করে নেওয়ার ইচ্ছেটাই আমাকে এগিয়ে রাখছে। আমি চাই, আমাদের এলাকার মেয়েরা দেখুক যদি মন থেকে চাই, পরিশ্রম করি, তাহলে পাহাড়ের মতো দূরের জায়গা থেকেও দেশের বাইরের বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা সম্ভব। ভবিষ্যতে নিজের শিক্ষা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার এই পথচলা সার্থক হবে”।



অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন