স্টাফ রিপোর্টার,দীঘিনালা:: পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের বিকল্প নাই। পার্বত্য অঞ্চলে অনাকাক্সিক্ষত কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ঘটনাস্থালে এসে সমস্যা সমাধান করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বক্ষায় কাজ করছে। এছাড়াও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ সরকারি দেয়া বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোর ঘোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনিয়ন পর্যায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারনে যে প্রস্থাব করা হচ্ছে এতে করে জন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেতে ব্যহত হবে বলে মনে করে স্থানীয় সুশীল সমাজের নাগরিকরা। ইতি মধ্যে যত তত্বাবধায় ও অন্তর্বতীকালী সরকার এসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ইউনিয়ন পর্যায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারন করে নাই।
রকারের সর্বশেষ নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিকল্প নাই।
ইউনিয়নের প্রবীণ বাসিন্দাদের ভাষ্য, স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের জনপ্রশাসনের সঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বোঝাপড়া সাবলীল বা সহজ নয়। ইউপি চেয়ারম্যানরা না থাকলে আকস্মিক ও গুরুতর কোনো ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে কোনো অভিভাবক থাকবে না। উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা এখন আর নেই।
সে ক্ষেত্রে সাধারণের মুখপাত্র হিসেবে প্রশাসন বা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয়দের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের সহায়তা শূন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকবে, যা উদ্বেগজনক। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অপসারণের বিষয়টি আলোচনায় আসায় এ নিয়ে আরও বেশি উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এমনটা হলে থমকে যাবে গ্রামীণ উন্নয়ন। বাড়বে সহিংসতা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। অনেকেই মনে করছেন, দৈনন্দিন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্য যে কাজগুলো দৈনন্দিন করতে হয়, সেগুলোতে জনদুর্ভোগ ও গ্রামীণ পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে যাবে। ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশাসনের কাজের অন্যতম সহায়ক শক্তি।
স্থানীয় পর্যায়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে চেয়ারম্যান মেম্বারগন। দেশের বর্তমান অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য তাদের আবশ্যকতা রয়েছে। এ মুহূর্তে তাদের অপসারণ ঘটলে স্থানীয় পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে।
দীঘিনালা উপজেলার চাঙমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির পরিচালক ও জাতীয় পাঠ্যপুস্ত্য বোর্ড বাংলাদেশ এর চাকমা ভাষায় বই লেখক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আনন্দ মোহন চাকমা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের অপসারনে জন্য দাবী নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলতেছে এটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য এটা দূভোর্গ হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙ্গালিদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা যে ক্ষোভ সৃষ্টির হয় তা সামাল দিতে হয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভূমিকা অতুলনীয়। আমি মনে করি পার্বত্য অঞ্চলে এই পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান মেম্বারদেরক যদি অপসারন করা হলে আমরা বড় ধরেন বিপদে পড়ব। কারনে বর্তমানে চেয়ারম্যান মেম্বারা পাহাড়ি ও বাঙ্গালিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে কাজ করছে। তাদের কারনে আমরা শান্তি সুবাতাস দেখতেছি।
দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্চন চাকমা বলেন, ২০২২সালে ইবিএম এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছি। আমি বর্তমানে কর্মস্থলে ইউনিয়ন পরিষদে আছি এবং জনগনের সেবা দোরঘোরে পৌঁছে দিতেছি, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে কাজ করছে তাদেরকে স্বস্ব পদে বহাল রাখার জন্য বর্তমান সরকারের উপদেষ্ঠা কাছে আবেদন করছি।
দীঘিনালা উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) সাধারণ সম্পাদক মো: জয়নাল আবেদীন বলনে, আওয়ামী লীগের সরকার দলীয় প্রতিক বাদ দিয়ে কৌশলে তাদের দলীয় লোকজনকে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী করেছে। জনগন দেখিছে সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ গ্রহন যোগ্য নির্বাচন হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে। দেশে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। অন্তর্বতীকালীন সরকার দেশে বিভিন্ন সেক্টর সংস্কার করতে শুরু করেছে, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ জন প্রতিনিধিদের অপসারন করেছেন, তবে ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধি কর্মস্থলে না থাকার কারনে জনসেবা ব্যহত হচ্ছে।
যতদ্রুত সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদগুলো জনপ্রতিনিধিদের অপসারন করে নতুন করে নির্বাচন দেয়া দরকার। ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে মো: কামাল হোসেন বলেন, পরিষদে এসে আমরা দ্রুত জন্ম সনদ, চেয়ারম্যান সনদ পাই, অনেক সময় চেয়ারম্যান মেম্বারের বাড়িতে গিয়েও সেবা ও পরামর্শ পেয়ে থাকি, সব চেয়ারম্যান ও মেম্বার এক সাথে বাতিল করে দিলে আমাদের সেবা পেতে সমস্যা হবে মনে হয়।