স্টাফ রিপাের্টার,মাটিরাঙা:: প্রায় সপ্তাহ ব্যাপি টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে ভারত সিমান্তবর্তী খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার নিম্নাঞ্চল। সময়ের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে বানের পানি। এতে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ক্ষতচিহ্ন। ভারি বৃষ্টির ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।
এক স্থানের সড়কের মাটি সরানো শেষ হলে নতুন করে অন্য স্থানে ধসের ঘটনা ঘটেছে। মাটির ঘর ধসে বহু পরিবার গৃহহীন হয়েছে। বানের ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের, মারা গেছে গবাদিপশু,হাস মুরগি। নষ্ট হয়েছে কৃষি আবদি ফসল। ব্রিজ কালপাট ভেঙ্গে সেড়ক যোগা যোগ বিচ্ছিন হয়েছে। উপ জেলার বেশকিছু এলাকায় জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। ভোগান্তিতে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ।
মাটিরাঙ্গা পৌর এলাকায় ভেঙ্গে গেছে ধলিয়া খালের উপর নির্মীত মোহাম্মদপুর -বর্জলা ও বলিটিলা কঠের ব্রিজ। ধলিয়ার খড়স্রোতে পাড় ধসে পাড় নদীগর্ভে বিলিন হয়েগেছে মোহাম্মদপুর-বর্জলা ক্রিজ এবং পহাড় ধসে ধুমড়ে মুছকে গেছে বলিটিলা ব্রিজ,বন্ধ হয়ে গেছে চলা চলাচল রাস্তা । এতে মাটিরাঙ্গার পৌর সদরের সাথে যোগা যোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৬টি গ্রামের । ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ে হাজারো মানুষ।
এদিকে খালের পানি কিছুটা কমলে স্থানীয়দের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর-বর্জলা পয়েন্টে বাঁশের সেতু নির্মান করে সাময়িক চলা চলের ব্যবস্থা করা হয়। স্কুল ও মদ্রাসা পড়ুয়া ছোট ছোট শিক্ষার্থী এবং বয়স্ক লোক লোকজন এ সেতু দিয়ে চলা চলের জন্য চরম ঝুঁকিপুর্ণ। তাড়াও অসুস্থ ও গর্ভবতিদের চলাচলের জন্য অনুপযোগি। অপর দিকে বলিটিলা ব্রিজ পয়েন্টে পাহাড় ধসের কারণে জন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় সবুর মিয়া জনান,স্কুল কলেজ, হাটবাজার, হাসপাতাল সব খালের ওপারে। ব্রিজ ভাঙ্গার কারণে মোহাম্মদপুর সহ ৬ গ্রামের হাজারো মানুষ সদর থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে আছে। জন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ নির্মানে সংশ্লিষ্টদের জোর দাবি জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন জানান, বছরজুড়ে ধলিয়া খালে পানি থাকে। সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা ব্রিজ নির্মানে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।