স্টাফ রিপোর্টার:: পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশ ধ্বংস ও অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত অবৈধ কাঠ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি জোনের অধীন মানিকছড়ি-ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী নয়াবাজার চেক পোস্ট পয়েন্টে থাকা সেনা ক্যাম্পের অভিযানে কাঠ পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কাঠের বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেনা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীছড়ি জোনের অধীন মানিকছড়ি-ফটিকছড়ি উপজেলার চেক পোস্ট পয়েন্ট নয়াবাজার সেনা ক্যাম্পের একটি টহল দল নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিল্লাছড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সংশ্লিষ্টসহ তাদের সহযোগী অবৈধ কাঠ পাচারকারী চক্র কাঠ ফেলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে টহল দল ২৪০ পিস অবৈধ কাঠ উদ্ধার করে, যার পরিমাণ প্রায় ৩০১ দশমিক ৪৭ সিএফটি। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে জব্দকৃত কাঠ মানিকছড়ি বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষীছড়ি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ কাঠ পাচারচক্রের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চক্র পরিকল্পিতভাবে বন উজাড়, সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস এবং প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত, যা পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অবৈধ কাঠ পাচারসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।
পার্বত্য এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো সন্ত্রাসী বা অপরাধী চক্রকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে। মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ কাঠ জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন