স্টাফ রিপোর্টার:: এখনো পর্যন্ত তৃণমূলে সাপে কাটা ব্যক্তির চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ওষুধ নেই! ফলে কাউকে সাপে কাটা মানে নির্ঘাত মৃত্যুর ঝুঁকি! পাহাড়ের কোন দুর্গম জনপদ হলে সাপে কাটা কাউকে সাধারণ হাসপাতালে না এনে বৈদ্য কিংবা কবিরাজি অপচিকিৎসার দ্বারস্থ হয় অনেকে! সাপটি বিষাক্ত হলে এতে এক পর্যায়ে মৃত্যু ঘটে সাপে কাটা অসহায় মানুষের!
তৃণমূলে সাপে কাটা মানুষের অহরহ এমন দুর্ভাবনার মাঝে গতকাল খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার দুর্গম মহাজন কারবারী পাড়ায় সাপে কাটা জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরাকে(৫৮) বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক টীম। প্রাণে বাঁচলেন জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরা! পরিবারের প্রধানের অনিশ্চিত যাত্রা থেকে প্রাণফিরে পাওয়ায় সেনাবাহিনীর এমন মহৎ উদ্যোগে চিন্তিত পরিবারটি সেনাবাহিনীর প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ!
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি জোনের আওতাধীন মহাজন পাড়ায় গত বুধবার সন্ধ্যায় খেতে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরা(৫৮) গ্রীণ ভাইপার( বিষধর)সাপের ছোবলে(দংশন) আক্রান্ত হয়! মুহূর্তে আহত জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরা ব্যাথায় ছটফট করতে থাকে!
এমন সময় স্থানীয়রা বিষয়টি সেনাবাহিনীকে অবহিত করেন। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই মানবিক সহায়তায় দ্রুত সাড়া দেয় সিন্দুকছড়ি জোন। তারা আহতকে প্রথমে মানিকছড়ি হাসপাতাল এবং পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে প্রাণ বাঁচান! বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানিয়া চন্দ্র ত্রিপুরা অনেকটা সুস্থ ও আশংকামুক্ত।
এ বিষয়ে সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানান, “শুধু পাহাড়ি বা বাঙালি নয়, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল সাধারণ মানুষের পাশে যে কোনো সংকটে সেনাবাহিনী পূর্বেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। পাহাড়ের শান্তি, সম্প্রীতি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী ক্লান্তিহীনভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।”
সেনাবাহিনীর এই দ্রুত পদক্ষেপ ও আর্থিক সহায়তা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তাদের মতে, সেনাবাহিনীর সময়মতো হস্তক্ষেপে আজ একজন মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হলো। সিন্দুকছড়ি জোন উক্ত ব্যক্তির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।



অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন