রাঙামাটির মোনঘর শিশুসদনের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা
ডেস্ক রিপাের্ট:: পার্বত্য অঞ্চলের বর্তমান যে বাস্তবতা সে বাস্তবতা নিঃসন্দেহে আমাদেরকে নানাভাবে ব্যাথিত করে। নানাভাবে আমাদেরকে বাধাগ্রস্ত করে। এবং এগিয়ে চলার পথে নানা ক্ষেত্রে আমরা মানসিকভাবে নিরুৎসাহিত হই। হতে বাধ্য হই।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৪) দুপুরে রাঙামাটির মোনঘর শিশুসদনের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা একথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অবশ্য এটা ঠিক, এখানে বিভিন্ন ভাষাভাষির জাতিসমূহের শিক্ষার ক্ষেত্রে কমবেশি।
এখানে অগ্রগতি সমান ভাবে দেখি না। কিন্তু এটা বাস্তবতা যে আজকে সারা পার্বত্য অঞ্চলে দলীয় কিংবা নির্দলীয় হোক। সে যেভাবে তার জীবনধারা হোক না কেন শিক্ষার ক্ষেত্রে পদার্পন করার জন্য সকল অভিভাবক এবং ছেলেমেয়েরা তারা নিঃসন্দেহে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।
পাহাড়ে শান্তি নিকেতন হিসেবে পরিচিত ১৩টি পাহাড়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা প্রসারের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান মোনঘর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। উৎসবের প্রথমদিন বর্নাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়,খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, শিক্ষাবিদ শামসুদ্দীন শিশির সহ পাহাড়ের বিশিষ্টজনরা। পাহাড়ের শিক্ষা বিস্তারের আলোকবর্তিকা এ বিদ্যাপীঠ মোনঘর আগামী দিনগুলোতে আরো জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিবে এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন উপস্থিত সুধীজনরা।
১৯৭৪ সালে রাঙামাটি শহরের অদুরে রাঙ্গাপানি এলাকায় চার একর জমিতে মোনঘর স্থাপিত হয়। বৌদ্ধ সন্ন্যাসী জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের শিষ্য বিমল তিয্যে ভিক্ষু, প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু ও শ্রদ্ধালংকার ভিক্ষুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেন মোনঘর শিশু সদন।