প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: মহান শিক্ষা দিবসে খাগড়াছড়িতে মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। মঙ্গলবার সকালে (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ‘নতুন সংবিধান’ চাই, সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাও’ শ্লোগানে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি মুক্ত করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে” এই দাবিতে খাগড়াছড়ি সদরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনাল, খাগড়াছড়ি গেইট ও খাগড়াছড়ি কলেজ গেইট প্রদক্ষিণ করে চেঙ্গী স্কয়ারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে ব্ক্তব্য রাখেন পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি শান্ত চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক তৃঞ্চাঙ্কর চাকমা।
এতে বক্তারা, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন দেশের ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি আন্দোলন। ১৯৬২ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজ স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের শিক্ষামন্ত্রী এস এম শরীফের শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিল।
১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক এস এম শরীফের নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৫৯ সালে ২৬ আগস্ট একটি রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারী, বাধ্যতামুলক ইংরেজী শিক্ষা ও বাংলা হরফের বদলে আরবি, উর্দু ও রোমান ভাষা চালুর জন্য সুপারিশ করা হয়।
‘টাকা যার শিক্ষা তার’ শরীফ কমিশনের এই শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশ গুলি ছুড়লে বাবুল, মোস্তফা ও ওয়াজীউল্লাহ সহ সুন্দর আলী নামে এক শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরো অনেকে।
তিনি আরো বলেন, মাতৃভাষাকে অক্ষুন্ন রাখতে ৫২ সালের তৎকালীন পুর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। তাদের রক্তের বিনিময়ে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছিল।স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আজ স্বাধীন দেশে বাঙালী ভিন্ন অন্যান্য জাতিসত্তাদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি, মাতৃভাষায় শিক্ষার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে।
এছাড়া গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলোতে এখনো অগণতান্ত্রিক পরিবেশ জারি রয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারী ও উগ্রজাতীয়তাবাদ বেশ লক্ষণীয়। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, ছাত্রী নিপীড়ন চলমান রয়েছে। ঘাটতি রয়েছে দক্ষ ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের।