পার্বত্য চট্টগ্রামে গ্রাফিতি আঙ্কনে বাঁধা ও মুছে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
আল-মামুন:: পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঙ্কনে বাঁধা ও মুছে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি (আধিবাসী) ছাত্র সমাজ। শুক্রবার ( ১৬ আগস্ট ২০২৪) সকাল ১১ টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শাপলা চত্বর,জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ শহরের প্রধান প্রধান চেঙ্গী এস্কয়ারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
ফুটন্ত চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষার্থী জ্যাকি চাকমা,তুষিতা চাকমা,লাবরেচাই মারমা,মেঘদূত ত্রিপুরা,সবিতা চাকমা,শিল্পী সমাজের প্রতিনিধি সানু মারমা,সঞ্জীব চাকমা,উত্তম ত্রিপুরা,জগৎ শান্তি চাকমা।
বক্তারা, জীবন দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কথা তুলে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্ব-স্ব জাতি সত্ত্বার অধিকার আদায়ের নিজেদের আদিবাসী স্বীকৃতি,আধিবাসীদের জন্য ৫% কোটা চালু,এরই মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পূর্ণগঠন হতে চলেছে জানিয়ে এ পরিষদ যেন কোন শাসক গোষ্ঠীর শাষিত না হয় সে দাবী জানান।
তারা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতা এনে দিলেও সমতলের তুলনায় ভিন্ন রূপ দেখা যায় পাহাড়ে পাহাড়বাসীদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে মন্তব্য করে প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঙ্কনে বাঁধা ও মুছে দেয়ার প্রতিবাদ জানান। পরে সমাবেশ থেকে “বৈষম্যের শিকার আদিবাসী সাংস্কৃতিক কর্মীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৭ দাবী জানান।
এতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রজ্ঞাপন বাতিল পূর্বক আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট নাম সংশোধন করে আদিবাসী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট নামকরণ করতে হবে। সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও রক্ষনাবেক্ষণে আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পৃক্ত সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।বৈষম্য দূরীকরণে আদিবাসী সকল সম্প্রদায়কে সুষম বন্টন ভিত্তিক বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।
আদিবাসী সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ত সকল সরকারি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে উপদেষ্টা মন্ডলি নিয়োগের বেলায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলায় সকল উপজেলায় আদিবাসী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। উপজেলা ভিত্তিক সাংস্কৃতিক কর্মীদের তালিকা প্রনয়ন পূর্বক অনগ্রসর বিবেচনায় নূন্যতম প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবী জানান।