ডেস্ক রিপাের্ট:: রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। এ মাসের ইবাদতে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি নেকি পাওয়া যায়। রমজানে প্রত্যেক মুসলমান বেশি থেকে বেশি সময় ইবাদতে কাটানোর চেষ্টা করেন। এ মাস ইবাদতের মাস। এ মাস ক্ষমা লাভের মাস।
এ মাসে যে মুসলমান ইবাদত করে ক্ষমা লাভ করতে সক্ষম হলো না, তার ধ্বংসের দোয়া করেছেন জিবরাইল (আ.) এবং তাতে আমিন বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। সুতরাং এ মাসে ইবাদতে বা সব ধরনের আমলে বেশি থেকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।
নিচে কোরআন-হাদিসের আলোকে এ মাসে করণীয় কিছু বিশেষ আমলের তালিকা তুলে ধরা হলো-
১. দিনে রোজা রাখা: আল্লাহতায়ালা বলেন- তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমজান মাসে উপনীত হবে, সে যেন রোজা রাখে। (সূরা আল বাকারা : ১৮৫)
২. রাতে তারাবির নামাজ পড়া: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে রাতে জেগে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার পেছনের গোনাহ মাফ করে দেবেন। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
৩. শেষ সময়ে সাহরি খাওয়া: হাদিসে এসেছে, মানুষ কল্যাণের মধ্যে থাকবে, বিলম্ব না করে ইফতার করবে এবং শেষ সময়ে সাহরি খাবে। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
৪. ইফতারের আগে ও দিনভর দোয়া করা: তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। … রোজাদার ব্যক্তির- ইফতারের আগ পর্যন্ত। (সুনানে তিরমিজি, ইবনে হিব্বান)
৫. বিবাদ-বিতণ্ডা এড়িয়ে চলা: কেউ তাকে (রোজাদারকে) গালি দিলে বা ঝগড়া করলে সে যেন বলে- আমি রোজাদার। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
৬. রোজাদারকে সাধ্যমত ইফতার করানো: যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাকে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দেয়া হবে। তবে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কর্তন করা হবে না। (সুনানে তিরমিজি)
৭. কোরআন তেলাওয়াত, মর্মচর্চা ও শিক্ষা করা: রমজানের প্রতি রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে সাক্ষাত করতেন এবং তাকে কোরআনের দরস দিতেন। (আহমদ ও সহিহ বোখারি)
৮. অধিক হারে দান-সদকা করা: সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল ছিলেন সবার চেয়ে দানশীল। আর রমজানে তার দানশীলতা বেড়ে যেত, যখন তার কাছে হজরত জিবরাইল (আ.) আগমন করতেন। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
৯. সামর্থ্য থাকলে উমরা করা: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে উমরা করা হজের সমতুল্য। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
১০. শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফ করা: আল্লাহর রাসূল (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিনে ইতিকাফ করতেন। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)
সূত্র: ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ।