স্টাফ রিপাের্টার,রামগড়:: সাবেক প্রাচীন মহকুমা রামগড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত শত বছরের ঐতিহ্যবাহি এসডিও বাংলো চত্বরে ‘শিশু কানন’ নামে মনোরম শিশু বিনোদন পার্ক তৈরি করা হয়েছে। এটি এ উপজেলায় নির্মিত প্রথম শিশু পার্ক। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশু পার্কটি তৈরি করা হয়।
শনিবার (৯ মার্চ) খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এ শিশু কাননের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকারের গঠিত তৎকালিন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার দ্বিতীয় মহকুমা রামগড়ে ফেনী নদীর কূল ঘেঁষে ব্রিটিশ প্যার্টানে বিশেষ নির্মাণ শৈলীতে বানানো হয় এসডিও সাহেবের বাংলো।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেরও বহু স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহি এ এসডিও বাংলোটি। দীর্ঘদিন অযত্ম-অবহেলায় থাকার পর ২০২২ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দোকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটি সংরক্ষণ ও সংস্কার এবং এখানে শিশু বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ঐ বছর ২৮ নভেম্বর খাগড়াছড়ির তৎকালীন জেলা প্রশাসক(যুগ্ম সচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এ শিশু কাননের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহায়তায় শিশু কাননের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ভারত সীমান্তবর্তী ফেণী নদীর তীর ঘেঁষা দৃষ্টিনন্দন এসডিও বাংলো ও এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয় শিশু দর্শণার্থীদের বিনোদনের জন্য মনোরম শিশু বিনোদন পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন।
সীমান্ত সড়ক হতে এসডিও বাংলোর প্রবেশ পথটি নান্দনিকভাবে নির্মাণ ও আর্চওয়ের মাধ্যমে সবুজ গেইট নির্মাণ করা হয়েছে। কিডস জোনে শিশুদের জন্য অত্যাধুনিক স্লাইডস ও রাইড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ল্যান্ডস্কেপে ওয়াকওয়ে এবং বসার ব্যবস্থা রয়েছে। টিলার ঝিঁরির ওপর নির্মিত পাকা সেতুটিও সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয়ভাবে ।
নির্মাণ করা হয়েছে দর্শণার্থীদের জন্য উন্নতমানের ওয়াশরুম। এখানে শিশুদের অভিভাবকরাও বেশ আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। সন্ধ্যার পর রং-বেরংয়ের আলোকসজ্জায় স্বপ্নপুরীর রুপ নেয় শিশু কানন। রয়েছে ‘আই লাভ রামগড়’ ফটো সেশন প্লেস। কিডস্ জোনটি শিশুদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশ ও আনন্দময় পরিবেশ উপযোগী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন বলেন, ঐতিহ্যবাহি রামগড়ে শিশুদের বিনোদনের জন্য সর্বপ্রথম এ শিশু পার্কটি তৈরি করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। এখানে ট্রেনসহ আরও কিছু রাউড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ঐতিহাসিক এসডিও বাংলোর সংস্কার ও উন্নয়নে একটি বড় প্রকল্প নিয়েছে। শীঘ্রই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।