
আল-মামুন:: “জুম্ম জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বৃহত্তর জুম্ম জাতীয় ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ুন”— এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) খাগড়াছড়ি সদর মধুপুরস্থ দলীয় প্রধান কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন—ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সাধারণ সম্পাদক মিটন চাকমা,সাংগঠনিক সম্পাদক অমর জ্যোতি চাকমাসহ দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দরা এতে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এছাড়াও এতে খাগড়াছড়ি,রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার প্রতিনিধিরাও সভায় অংশগ্রহণ করেন।

দলের প্রধান সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা তাঁর বক্তব্যে বলেন— ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর জন্ম নেওয়ার পর ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) আট বছরের পথচলায় জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার, অস্তিত্ব সংগ্রাম এবং জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। তিনি দলীয় অর্জন, ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন— জাতির মুক্তির জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, প্রগতিশীল চিন্তা, এক মতাদর্শ ও এক অভিন্ন লক্ষ্য। জুম্ম জাতির হাজারো শহীদের রক্তে অর্জিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

দলের সাধারণ সম্পাদক মিটন চাকমা তাঁর বক্তব্যে বলেন— দলের কার্যবিধি, শৃঙ্খলা, কর্মীদের নিবেদন, সমন্বয় ও ত্যাগী মনোভাব ধারণ করেই দলীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে। দল ও জাতির অস্তিত্বের প্রশ্নে সবাইকে এক হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। “জাতির সংকটে কোনো প্রকার আপোষ নয়। জাতির মুক্তির উত্তরণের জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ শক্তি।”
তিনি আরও যোগ করেন— দল যদি জনগণের মুখপাত্র হয়ে শোষিত–নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে ব্যর্থ হয়, তবে দলকেই জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। তাই ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) জুম্ম জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও বদ্ধপরিকর। পরিশেষে আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শেষে এক অভিন্ন প্রত্যয়ে সকল নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা ঘোষণা করেন— জুম্ম জাতির স্বকীয়তা, অধিকার ও অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) আগামীতেও অবিচল ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। হাজারো শহীদের ত্যাগে রক্তসিঞ্চিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, শান্তি, ন্যায়বিচার এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের অর্জন— এই লক্ষ্যেই দল দৃঢ় সংকল্প ও নব উদ্যমে আগামী পথচলা শুরু করার ঘোষণা দেয়।



অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন