মো: সোহেল রানা:: খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় গহীন বনে রেসাস প্রজাতির একটি বানর শাবক অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম উত্তর ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের মেরুং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলামসহ বন কর্মীরা বানরটি অবমুক্ত করেন জংগলে ছেড়ে দেয়।
মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বানর শাবকটিকে গত ১০ এপ্রিল উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের জামতলী বাজার গলায় শিকল বাঁধা অবস্থায় বনকর্মীরা উদ্বার করে। পরে স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় বুনো পরিবেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে বানর শাবকটিকে বনের উপযোগী করে তোলা হয়। পরে গহীন বনে শাবকটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।’
দীঘিনালা স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সমন্বয়ক হৃদয় বড়ুয়া বলেন, ‘বানরটি যেহেতু লোকায়লের মানুষের খাবারে অভ্যস্ত ছিল তাই কিছুদিন তাকে বুনো পরিবেশে প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত করা হয়েছে। এখন বানর শাবকটি প্রাকৃতিক ভাবে নিজের খাবার সংগ্রহ করে খেতে পাড়বে।
এছাড়াও খুব শিগ্রই তার প্রজাতির বানরের সাথে যুক্ত হতে পারবে।’ বানরটি রেসাস বানর বা লাল বান্দর (ইংরেজি: Rhesus Macaque, Rhesus Monkey; বৈজ্ঞানিক নাম:Macaca mulatta) এই বানরপ্রজাতিটি প্রাচীন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত। এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সাংবাদিক সোহানুর রহমান বলেন, অবাধে বনাঞ্চল উজাড়, আয়তন কমে যাওয়া, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল আঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাওয়া, তীব্র খাদ্য ও পানির সংকট ইত্যাদির কারণে বন্যপ্রাণীরা সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে।
এই সুযোগে অনেক সময় মানুষের হাতে ধরা পড়ছে এসব প্রাণী। কখনও কখনও আতঙ্কিত হয়ে লোকজন মেরে ফেলছেন লোকালয়ে আসা বন্য প্রাণীগুলোকে। অন্যদিকে, সচেতন মানুষ লোকালয়ে বন্য কিংবা বিপন্ন প্রাণী দেখলে বন বিভাগসহ প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করছে, এমন সংস্থাগুলোকে খবর দিচ্ছেন। এতে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী।