ডেস্ক রিপাের্ট:: রাঙামাটিতে আগামী ১ নভেম্বর এবং খাগড়াছড়িতে ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বান্দরবানেও যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার পরিবেশ কবে নাগাদ শান্ত হতে পারে এবং কবে থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমরা জানি এই পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটক বন্ধ থাকায় এখাতের ব্যবসায়ীরা দুর্বল হয়ে গেছে এবং এ খাত কিছুটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
এজন্য এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি এবং ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেয়া হবে পর্যটকদের জন্য। এরপর পর্যায়ক্রমে খুব দ্রুতই বান্দরবানও খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমার এসেসমেন্ট আছে যে, বর্তমানে পার্বত্য জেলাগুলোর পরিবেশ মোটামুটি শান্ত হয়েছে। আমি মনে করি না আর আগের মতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যেটা গত ১৮, ১৯ আগস্ট একটা চুরির ঘটনা থেকে এবং এরপর গত ১ অক্টোবর একটি ধর্ষণের ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়। হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু আমরা চাচ্ছি সবাই মিলে এই সমস্যাগুলো থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারি। পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক বজায় থাক। এটা থাকা খুব জরুরি। আমাদের যে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার এটা খুব ভালো করে বুঝে এবং চেষ্টা করছে এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে যেন না ঘটে। একই সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ জানাব, আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের শাস্তি হওয়াটা জরুরি। তবে পার্বত্যবাসীরা অনেক সময় মনে করে যে তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। আমরা বলতে পারি, অপরাধী যেই হোক তার বিচার হবে। একই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোনো নিরপরাধী যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমাদের চেষ্টা থাকবে।
তাহলে কি মনে করছেন সেখানে আর কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটাতো বলতে পারব না। হঠাৎ একটা ঘটনা ঘটে যেতেও তো পারে। এ ধরনের ঘটনা আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ঘটছে। একুটুই বলব, সেখানে পর্যটক যাওয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালিন সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেটা সফল হবে বলে মনে করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, সরকার যেই আসুক সবারই চেষ্টা থাকে শান্তি বজায় রাখার। যেহেতু এই অঞ্চলটা আমাদের বাংলাদেশের। ফলে সরকার যেই হোক উদ্যোগতো থাকবেই।