ভোগান্তির শেষ নেই সাধারন মানুষের
আল-মামুন:: বন্যায় হাজরো মানুষের ভোগান্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছে সবুজ পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পিস ঢালা ও কার্পেডিং সড়ক। ভেঙ্গে পড়েছে সড়ক যোগোযোগ ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেতু,কালভার্ট, মসজিদ,মন্দির,স্কুল।
আর কাঁচা সড়ক মানেই চলাচল অউপযোগি শত কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়িতে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের বাড়ি-ঘর বসবাস উপযোগী করে তুলতে কাজ করেছে যাচ্ছে স্ব-স্ব পরিবারগুলো। এদিকে এখনো খাগড়াছড়ির যেসব দূর্গম এলাকায় মানুষ কষ্টে কাটাচ্ছে সে সকল এলাকায় তালিকা করে সহায়তা পৌঁছাতে প্রশাসনের তরফ থেকে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,বানবাসী বন্যাদূর্গতদের হাহাকার। যেখানে নিজেদের খাদ্যের জোগান দেয়া থেকে শুরু করে ত্রানের অপেক্ষা বুক বেঁধে আছে। যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,জেলা প্রশাসন,পৌরসভা,রেড ক্রিসেস্ট সোসাইটি,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,বিএনপি,জামায়াতসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এতে কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুজীবন দেওয়ান বলেন, বেতছড়ি মুখ সড়কের ছড়ার উপর দিয়ে নির্মিত সেতুটির এক পাশের সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংকট নিরসনের দাবী জানান।
কমলছড়ি ইউনিয়নের বেতছড়ি মুখ, মারমাপাড়ার সড়ক,বৌদ্ধ মন্দির,চলাচলের সংযোগ সেতু নিয়ে দূর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যবস্থা না নিতে অনুরোধ জানান স্থানীয় বাসিন্দা নিউটন মারমা।
কমলছড়ি অংম্রে রাদনা বৌদ্ধ বিহার এর উপাসনালয়টি ভবনের অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে পানির তোড়ে। ফলে ধর্মীয় কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপাসকরা জানান বর্তমান সময়টা সংকটকাল। তাই বিশেষ বিবেচনার দাবী তাদের।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রতিটি এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দূর্গতদের পাশে দাঁড়ানো,খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করে হচ্ছে। বরাদ্দ আসলে প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নে কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।