“বিবাদীর তালিকায়-খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক (রির্টানিং অফিসার),প্রধান নির্বাচন কমিশনার,বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার এর সচিব,খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ১৪ কর্মকর্তা।”
স্টাফ রিপোর্টার:: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন ২০২৪) খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিটন চাকমা।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ৫৫ (২),৫৭ এবং বিধি ৬১ এর ধারায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামী করা হয় কাপ পিরিচ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা চেয়ারম্যান প্রার্থী চন্দ্র দেব চাকমাকে।
এছাড়া বিবাদীর তালিকায় রয়েছে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক (রির্টানিং অফিসার),প্রধান নির্বাচন কমিশনার,বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার এর সচিব,খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কমিশনার, পানছড়ি উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা (সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা),উপজেলা নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ১৪ জনকে বিবাদী করেন। যার মামলা নং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলা নং ০২/২০২৪। মামলায় আগামী ২৪ জুন গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে শুনানী পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করে হয়েছে বলে বাদী নিজে নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার প্রধান আসামী কাপ পিরিচ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা চেয়ারম্যান প্রার্থী চন্দ্র দেব পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) সমর্থিত প্রার্থী বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অন্যদিকে মামলার বাদী একই উপজেলার আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিটন চাকমা চির প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
এতে অভিযোগ করা হয়, ভোটে কাষ্টিং ভোট গণনাকালীন সময়ে উল্লেখিত কেন্দ্র থেকে মামলার বাদীর এজেন্টদেরকে ভয়ভীতি প্রধান বিবাদী চন্দ্র দেব চাকমা নেতৃত্বে তার দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থক, সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।
এছাড়াও ভোট গণনার সময় এজেন্টদের উপস্থিত না রেখে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আনারসের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিটন চাকমাকে পরাজিত করে। বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার চরম অনিয়াম ও কারচুপি, এজেন্টদেরকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া,জাল-জালিয়াতি,ভোটার উপস্থিতি ছিলো হারও পরে ঘোষিত ফলাফল প্রকাশের হার,ভোট দানকারীদের নমুনা স্বাক্ষর এবং টিপ সহিকে গুরুতরভাবে চ্যালেঞ্জ করেন বাদী। এতে পরিকল্পিত ভাবে ফলাফল প্রকাশ করে বাদীকে পরাজিত করানোর অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী মিটন চাকমা জানান, ন্যায় বিচারের জন্য এ মামলা দায়ের করেছি। আইনি লড়াইয়ে তিনি বিচার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ যে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় একই সাথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, দীঘিনালা, পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২১শে মে ২০২৪ এ নির্বাচনে ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৫ ইউনিয়নে পানছড়ি উপজেলার নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো, ৫৬ হাজার ৫ জন। এর মধ্যে পরুষ ভোটার ২৮ হাজার ২৪ জন এবং নারী ভোটার ২৭ হাজার ৯৮০ জন। উপজেলায় ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ছিলো।
এ নিবাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ২১ এপ্রিল২৪,যাচাই-বাছাই ২৩ এপ্রিল,আপিল- ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল,আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রত্যাহার ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্ধ ০২ মে ও ভোট গ্রহণ হয় ২১ মে ২০২৪।