সব
facebook raytahost.com
দুই প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ | Protidiner Khagrachari

দুই প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ

দুই প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ

ডেস্ক রিপাের্ট:: দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে চলতি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশনার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই জেলা পরিষদের তহবিল থেকে দুটি প্রকল্পের নামে ৬০ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করে লোপাটের অভিযোগ উঠেছে জিরুনা ত্রিপুরাসহ পরিষদের একজন সদস্য ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের রূপালী ব্যাংক শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে পার্বত্য ফল মেলার আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও পূবালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ছাগল এবং শূকর বিতরণ প্রকল্পের অনুকূলে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা তোলা হয়। দুটি চেকের মাধ্যমে এই টাকা তোলেন জেলা পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা। প্রকল্প দুটির আহ্বায়কও ছিলেন তিনি। আর চেক ইস্যু করেছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

হিসাব নেই, তথ্যও নেই:

তবে জেলা পরিষদের নেজারত ও সংস্থাপন শাখায় এ অর্থের কোনো ব্যয়সংক্রান্ত হিসাব নেই। এই দুই শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উল্লিখিত প্রকল্প দুটির ব্যয়ের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো নথি জমা পড়েনি। টানা কয়েক দিন চেষ্টা করেও পরিষদের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা ফল মেলা ও ছাগল-শূকর বিতরণ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি।

প্রকল্পের আহ্বায়ক প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরাও ব্যয়ের হিসাব দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি জানেনই না পার্বত্য ফল মেলায় খাগড়াছড়ি থেকে কয়টি স্টল অংশ নিয়েছিল। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফল মেলায় খাগড়াছড়ি থেকে অংশ নেওয়া স্টলের সংখ্যা ছিল মাত্র ছয়টি। এর মধ্যে দুটি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নামে, একটি চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার আপন বড় বোন মনদেবী ত্রিপুরার নামে, একটি জিরুনা ত্রিপুরার ব্যক্তিগত সহকারী নক্ষত্র ত্রিপুরার নামে ও বাকি দুটি অন্য দুজন উদ্যোক্তার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা সৃজন অ্যাগ্রো ফার্মের কর্ণধার মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জেলা পরিষদ থেকে মেলায় অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতো। কিন্তু এবার আমরা কোনো সহায়তা পাইনি। সম্পূর্ণ নিজের খরচেই স্টল নিয়েছি।’

এ বিষয়ে প্রকল্পের আহ্বায়ক প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাকে প্রকল্পের আহ্বায়ক করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোনো খরচ পরিচালনা করতে দেওয়া হয়নি। আমি ওই দুটি চেকের টাকা তোলার পর চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা আমার কাছ থেকে জোর করে পার্বত্য ফল মেলার ৪৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন। আর জিরুনা ত্রিপুরার নির্দেশেই ছাগল ও শূকর বিতরণ প্রকল্পের ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা আমি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত সহকারী আশীষ চাকমার হাতে দিতে বাধ্য হই। এরপর টাকাগুলো তারা কী করেছেন তা আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে বারবার ফোন করেও দায়িত্ব বিরত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী আশীষ চাকমার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘এই প্রকল্প দুটিতে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তা প্রকল্পের আহ্বায়ক ও তৎকালীন চেয়ারম্যান জানেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

সূত্র: খবরের কাগজ।

আপনার মতামত লিখুন :

নদী গর্ভে বিলীন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচল

নদী গর্ভে বিলীন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচল

দুই প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ

দুই প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ

মরুর খেজুর ফলন হচ্ছে পাহাড়ে

মরুর খেজুর ফলন হচ্ছে পাহাড়ে

প্রক্রিয়া জাতের অভাবে গাছেই নষ্ট হচ্ছে পাম ফল

প্রক্রিয়া জাতের অভাবে গাছেই নষ্ট হচ্ছে পাম ফল

জলরাশি আর সবুজে ঘেঁষা রাঙামাটির মায়াবী সড়ক

জলরাশি আর সবুজে ঘেঁষা রাঙামাটির মায়াবী সড়ক

সাংবাদিকতার দায়িত্বহীনতা সমাজকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে

সাংবাদিকতার দায়িত্বহীনতা সমাজকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈকত হাসান
বার্তা সম্পাদক : মো: আল মামুন সিদ্দিক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
ফোনঃ ০১৮৩৮৪৯৯৯৯৯
ই-মেইল : protidinerkhagrachari@gmail.com
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Design & Developed By: Raytahost .com