স্টাফ রিপোর্টার:: কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ভারত থেকে গরু চোরাচালান ও ঈদের পর ভারতে চামড়া পাচাররোধ এবং পুশইন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজিবি। সীমান্তে গোয়েন্দা নজরজারিবৃদ্ধি ছাড়াও সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির রামগড়ের ৪৩ বিজিবির আওতাধীন রামগড়, ফটিকছড়ির উত্তরাঞ্চল ও মিরেরসরাইয়ের বিশাল সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিজিবির এ কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে পার্বত্য এলাকার বনজঙ্গলঘেরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দেশে গরু পাচার এবং ঈদের পর কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার করার জন্য চোরাকারকারিরা তৎপর হয়ে উঠে। এ অবস্থায় চোরাকারবারিদের রুখতে আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে ৪৩ বিজিবি। বৃহষ্পতিবার (৫ জুন ২০২৫) ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আহসান উল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে রামগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক রাজু আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক জানান, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রামগড় ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালান এবং চামড়া পাচার প্রতিরোধের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ রয়েছে। দেশীয় খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য ভারত থেকে যাতে কোন গরু দেশে ঢুকতে না পারে এবং ঈদের পর কুরবানির চামড়া যাতে পাচার হয়ে যেতে না পারে সেজন্য ৪৩ বিজিবির অধীনস্থ সকল বিওপি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উৎসবে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের ব্যস্ততার সুয়োগে যেন পুশইন করতে না পারে সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক রামগড় সীমান্ত দিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় ৪৩ বিজিবি প্রতিপক্ষ বিএসএফ ব্যাটালিয়নকে কড়াভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক আরও বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য রামগড় ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সীমান্ত ছাড়াও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে।