প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলায় ও নির্বিচার গুলিতে চার জন নিহতের ঘটনা তদন্তের জন্য সরকার ঘোষিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিতে জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ইউপিডিএফের সহসভাপতি নতুন কুমার চাকমা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে উক্ত দাবি জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ছাড়া অন্য কোন তদন্ত কমিটি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে গঠিত লোগাং গণহত্যা তদন্ত কমিটি এবং ১৯৯৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট কল্পনা চাকমা অপহরণ তদন্ত কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ায় ঘটনার কারণ ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে; কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য পর্যন্ত গ্রহণ করেননি।
তাই অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত হতে পারে না বলে নতুন কুমার চাকমা অভিমত প্রকাশ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত কোন গণহত্যা কিংবা সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার হয়নি উল্লেখ করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হওয়ার পেছনে কোন যুক্তি থাকতে পারে না।
তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে যুক্ত করা না হলে তা হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক ও অপরাধীদের দায়মুক্তি দেয়ার সামিল। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক প্রেরত বার্তায় এ তথ্য জানান।