প্রতিনিধি রাঙামাটি:: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকালে রাঙামাটি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অবৈতনিক প্রিন্সিপাল এবিএম তোফায়েল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সামাজিক সংগঠন “যোগাযোগ” এর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও ডেইলী ইভিনিং নিউজ চট্টগ্রাম ব্যুারো চীফ এসএম কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন, দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সম্পাদক ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী আনোয়ার আল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এডভোকেট মোঃ জিল্লুর রাহমান, হাসান মোঃ আরমান, আবুল কালাম আজাদ বিন হাসান ও মোঃ সোহেল রানা। এসময় মডেল বিদ্যালয়ের ৩জন প্রতিবন্ধি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে যোগাযোগ এর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। পরে গ্রুপ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, এই মহান দিবসের উপর গুরুত্ব দিয়ে তোমাদের জীবনে নবীজীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সমাজকে আলোকিত করতে হবে। তোমরা যদি পড়ালেখার মনোযোগী হও তাহলে তোমাদের নিয়ে “যোগাযোগ” আগামীতে আরো সুন্দর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তোমাদের কে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে যোগাযোগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমি আশাকরি ভবিষ্যতে ও আপনারা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, রাসূল (সা:) তোমাদের মত ছোটদেরকে অনেক বেশি ভাল বাসতেন। তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) এর প্রতি ভালোবাসা ঈমানের পূর্বশর্ত। আর এই ভালোবাসা প্রকাশ পায় তার নির্দেশ পালন ও অনুকরণের মাধ্য দিয়ে।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ তোফায়েল উদ্দিন বলেন, নবীজীর (সা.) জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা এবং তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরী। তার চারিত্রিক গুণাবলি, ধৈর্য, দয়া ও সততা ইত্যাদি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিৎ। ঈদে মিলাদুন্নবীতে নবীজীর (সা.) সীরাত নিয়ে আলোচনা এবং তা চর্চা করা আমাদের অন্যতম করণীয়। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসার করা উচিৎ।
তিনি আরো বলেন, নবীজীর (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তা পরিবার, সমাজ এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। ইসলাম মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এবং তা প্রচার করা করণীয়। নবীজী (সা.) সব সময় দান-সদকা এবং সমাজের দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করার ওপর জোর দিয়েছেন। তাই যোগাযোগ সংগঠনটি আমাদের ছাত্রদের কে যে সহযোগিতা করেছে তা স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে ও এই সংগঠন অসহায় ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দরিদ্রদের সাহায্য করা, তাদের প্রয়োজন মেটানো এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করা অতি উত্তম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট জিল্লুর রাহমান বলেন, অশান্ত এই বিশ্বকে শান্তির ছায়াতলে আনতে হলে চাই বিশ্বনবীর আদর্শ অনুসরণ। নবীজি (স.) এর আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণের ফলেই আমরা পেতে পারি মহান আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি। কেননা এর মাঝেই রয়েছে সর্বপ্রকার কল্যাণ। বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ ছাত্রদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পথ অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (স.) যা যা করতে বলেছেন, তা করতে হবে, এবং যা করতে নিষেধ করেছেন, তা বর্জন করতে হবে। আলোচনা শেষে দেশ, জাতি ও বিশ^ মুসলিমদের মুক্তি এবং মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।