পার্বত্য শান্তিচুক্তি’র ৭০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে কিন্তু মৌলিক ধারাগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
মো: সোহেল রানা,স্টাফ রিপাের্টার:: “এমএন লারমা’র চেতনায় উজ্জীবিত হোক পাহাড়ের তরুণ প্রজন্ম” ধারণা করে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় জুন্ম জাতীয় চেতনার অগ্রদূত “এম এন লারমা’র ৮৫তম জন্মবার্ষিকী” উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টম্বর ২০২৪) সকাল ১০টায় দীঘিনালা সরকারি কলেজ বানিজ্য ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন আয়োজনে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) দীঘিনালা থানা শাখার সভাপতি বিবেক চাকমা।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডায়না চাকমার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) দীঘিনালা থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,দীঘিনালা থানা শাখার যুব সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েল চাকমা, দীঘিনালা হিল উইমেন্স ফেডারেশনের আহ্বায়ক সাগরিকা চাকমা প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি’র ৭০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে কিন্তু মৌলিক ধারাগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। মৌলিক ধারাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হব। জুম্ম জাতীর অস্তিত্ব রক্ষায় এমএন লারমা’র জীবনী ধারন কর পিসিপির পতাকা তলে এসে কাজ করতে হবে।
এমএন লারমা’র আদর্শ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতীর অস্তিত্ব রক্ষা অধিকার আদায়ে কাজ করা। পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করতে হবে। চাকুরীতে ঘুষ বানিজ্য বন্ধ করতে হবে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। পার্বত্য জুম্ম জাতি ভ্রাতৃগাতি সংঘাত থেকে বেরিয়ে এসে জুম্ম জাতীর অস্তিত্ব রক্ষা সকলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবানও জাননো হয়।