জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণ
স্টাফ রিপাের্টার:: জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদ আবু সাঈদসহ সারাদেশের সকল শহীদদের স্মরণে খাগড়াছড়িতে ‘শহীদি মার্চ’ ও সংহতি সমাবেশে করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের ১ মাস পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্প্রতিবার (৫ সেপ্টেবর ২০২৪) বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় এ কর্মসুচি পালন করা হয়। কর্মসূচির ব্যানার শ্লোাগন ছিল ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার লেজুড়-তাঁবেদারদের শায়েস্তা কর, বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাও’।
‘শহীদি মার্চ’ শুরু হওয়ার আগে চেঙ্গী স্কয়ারে এক সংহতি সমাবেশ করা হয়। এতে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে সাইরেন বাজিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি শান্ত চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সভাপতি ক্যামরন দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও ৭৫-এ শেখ মুজিবকে হত্যার পরবর্তী দেশে ছোট বড় অনেকগুলো সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছিল। রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনা ও একনায়কতন্ত্রের নীতির কারণে দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটলেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে কখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
বাক্ স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ন্যূনতম বেঁচে থাকার অধিকারের জন্যও পাহাড়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোকে অধিকারের কথা বলতে হয় তাহলে সে অভ্যুত্থানের সাফল্য নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ আশঙ্কায় রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশে নতুন রুপ ফিরে পেলেও পাহাড়ের উদীয়মান তরুণদের চেতনাকে ধ্বংস করতে সরকার দালাল বাহিনী সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ এনে ধর্ষণ,হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক সাজা হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে জনগণের এই দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এদেশ আবু সাইদ, মুগ্ধসহ শত শত ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে সাধারন মানুষের বাক্ স্বাধীনতা ফিরে পাচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শাসনামলে হত্যা-খুন-গুমের মুল হোতাদের গ্রেফতার ও বিনা বিচারে আটককৃত সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
সমাবেশের পরে চেঙ্গী স্কায়ার হতে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি হাতে ‘শহীদি মার্চ’ শাপলা চত্ত্বর ঘুরে এসে শান্তিনগর ও খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনাল এলাকা প্রদক্ষিণ করে খাগড়াছড়ি গেইটে এসে কর্মসূচীর সমাপ্তি করে।