খাগড়াছড়িতে সম-অধিকার আন্দোলনের বিক্ষোভ-স্মারক লিপি প্রদান।
আল-মামুন:: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্মারক লিপি প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম অধিকার আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ২০২৪) সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি ভাঙ্গাব্রীজ প্রদক্ষিণ করে পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
বক্তারা সমাবেশ থেকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা'কে অপসারণের দাবীতে জানান। এতে বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী সুবিধাভোগী ও সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব, উপজাতীয় সশস্ত্র গ্রুপের অন্যতম পৃষ্টপোষক দুর্নীতিবাজ সুপ্রদীপ চাকমাকে অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী জানান।
পরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রেরনের লক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ফেরদৌসী বেগমের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করে সম-অধিকার আন্দােলনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট করিম উল্লাহ এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
স্বারকলিপিতে সম-অধিকার অভিযোগ করা হয়, পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন দোসরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্থান না দেয়ার। একই সাথে দাবি থাকলেও সুপ্রদীপ চাকমা অজ্ঞাত কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন।
সুপ্রদীপ চাকমা একজন দুর্নীতিবাজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ,আস্থাভাজন ও তার আমলে অন্যতম সুবিধাভোগী।তিনি পলাতক শেখ হাসিনার এতোটাই বিশ্বস্থ ও অনুগত ছিলেন যে, যার ফলে ২০০৯ সাল থেকে টানা প্রায় ১৬ বছর শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। ভিয়েতনাম ও টার্কি এম্বাসিতে দায়িত্ব পালনকালে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা হয়। যা এখনো দুদকে চলমান রয়েছে। কিন্ত শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ার কারণে সুপ্রদীপ চাকমাকে ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই সচিব মর্যাদায় গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।সে পদে থাকা অবস্থায় তিনি অন্তবর্তীকালীন রিকারের উপদেষ্টা করা হয়।