স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় টানা বৃষ্টি ও ভারতের মিজোরাম প্রদেশ থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নেওয়া বন্যার্ত ৩০০ মানুষদের শুকনা খাবার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী।শনিবার (২৪ আগস্ট ২০২৪) বেলা ১২টায় দীঘিনালা উপজেলার মেরুন ইউনিয়নের বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ শুকনা খাবার বিতরণ করে বেতছড়ি সেনাবাহিনী সাব-ক্যাম্প।
এ সময় বেতছড়ি সাব- ক্যাম্প কমান্ডার ওয়ারেন্ট অফিসার রাশেদ আলম উপস্থিত থেকে খাবার বিতরণ করেন। তিনি বলেন,বেতছড়ী এলাকায় বন্যা ভাসি লোকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কাজ চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও সংকট কালে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোহাম্মদ আমান হাসান এর দিক নির্দ্দেশনায় গেল বৃহস্পতিবার থেকে উদ্ধার কাজে নামে দীঘিনালা সেনা জোন। পরে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনা ও গরম খাবার বিতরণ, অসুস্থ ও অস্থায়ী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র খুলে বিনামূল্য ঔষধ বিতরণ করে সেনাবাহিনী।
দীঘিনালা সেনা জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন দীঘিনালা সেনা জোন স্থানীয়দের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় আছে, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এ পর্যন্ত দীঘিনালা সেনা জোন ১৫০০ জনকে খাবার ও শুকনা খাবার। ৫টি অস্থায়ী সেনাবাহিনীর চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানান দীঘিনালা সেনা জোন। গেল কয়েক দিনের অতিবৃষ্টির কারণে মাইনী নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় মেরুং কবাখালী ও বোয়ালখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।