স্টাফ রিপাের্টার,মাটিরাঙা:: টানা বর্ষণে ভারত সিমান্তবর্তী খাাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার নতু নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভারতের থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিমান্তবর্তী ফেনী নদীর পানি উল্টো দিকে(উজান দিকে) প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়েছে বিসতৃর্ণ অঞ্চল।
ফলে উজেলার মাটিরাঙ্গা -তানাক্কাপাড়া সড়ক মাঝে মাঝে তলিয়ে গেছে। এতে উত্তরাঞ্চলের তাইন্দনং, তবলছড়ি ,বর্ণাল, বেলছড়ির সাথে সড়ক যোগা যোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অপরদিকে পাহাড় ধস আর নদী ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট ২০২৪) সকালে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন এলাক ঘুরে দেখা যায়,ধলিয়া খালের উপর নির্মীত বর্জলা মোহাম্মদপুর কাঠের ব্রিজ ভেঙ্গে ৬টি গ্রামের সাথে মাটিরাঙ্গা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। খালপাড়ে বাবাসরত বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মাটিরাঙ্গা দারুছন্না মাদ্রাসা। পাহাড়ি ঢলে যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে উপজেলার ৭টি ইউপিতে পানিবন্দি রয়েছে ১ হাজার পরিবার। ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের। মাটির ঘর ভেঙ্গেছে প্রায় শতাধিক।
তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এলাকার প্রায় ৩ কোটির টাকার বেশি মাছ ভেসে গেছে । ৫০টির বেশি পরিবার পানি বন্দি রয়েরছ। ত্রান সমগ্রী নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এলাকায় যাচ্ছে বলে জানা তিনি।
উপজেলার সবচেয়ে বেশি পানিবন্দি রয়েছে বেলছড়ি ইউনিয়নে। বেলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জানান,২শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ২০টির বেশি কাঁচা বাড়ি ধসে গেছে। এলাকায় ত্রান সমগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দুপুরের পর বৃষ্টি নাথাকলেও এ রিপোর্ট লিখা (বিকাল সাড়ে পাঁচটা) পর্যন্ত বেলছড়ি এলাকায় পানি বাড়তে দেখা গেছে।
উত্তরালের ৬টি ইউনিয়নের সাথে মাটিরাঙ্গার সড়ক যোগা যোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি কর্মবর্তা ও প্রকল্প কর্তার সাথে মোবাইলে একাধিক বার চেষ্টা করে যোগাযোগ করতে না পারায় বক্তব্য নেয়া সম্ভ হয়নি।