সব
facebook raytahost.com
সাবেক এমপি বাহার ও মেয়েসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা | Protidiner Khagrachari

সাবেক এমপি বাহার ও মেয়েসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাবেক এমপি বাহার ও মেয়েসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ডেস্ক রিপাের্ট:: কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে মাছুম মিয়া (২২) নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় জেলার দক্ষিণ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় কুমিল্লা ৬ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহা উদ্দিন ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট ২০২৪) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন দিশাবন্দ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হান্নান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হওয়ার বিষয়ে কুমিল্লা জেলায় এটাই প্রথম মামলা, যেখানে প্রথম একজন সাবেক এমপি, সিটি মেয়রসহ বেশ কয়েকজন সিটি কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত মাসুম মিয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুরের শাহিন মিয়ার ছেলে। মাসুম স্থানীয় একটি খাবার হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। কুমিল্লার সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি নন্দনপুরে ৪ আগস্ট শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন তিনি। পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল।

নিহত মাছুমের বাবা শাহীন মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে নিরপরাধ, তাকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো।’ ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘তার ছেলের বাম পায়ে দুটি গুলি ও মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।’ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন।

ওসি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে গুলি ও কুপিয়ে মাছুম নামের এক যুবক হত্যা করা হয়। ওসি আরও বলেন, মামলায় সাবেক এমপি বাহার ও মেয়ে ডা. সূচনাকে (সিটি মেয়র) হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে। অপর আসামিরা সশস্ত্র হামলায় জড়িত ছিলেন।

এদিকে মামলার এজাহারে থাকা অপর ৬০ আসামি হচ্ছেন- কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ নিয়াজ পাভেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাবিবুর আল আমিন সাদী, ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম রনি, (জামাই রনি), কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কুমিল্লার বাগিচাগাওয়ের কাউসার জামান কায়েস, তালপুকুর পাড়ের সুজন দত্ত, কালিয়াজুড়ির মুরাদ মিয়া, কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর ইকরামুল হক, রেইসকোর্সের আবদুল কাইয়ূম, কাউন্সিলর আবুল হাসান , সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক শিহানু, কুমিল্লার মধ্যম আশ্রাফপুরের নাজমুল ইসলাম শাওন, ছাত্রলীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ রাসেল, কুমিল্লার অশোকতলার শাহ আলম খান, শাসনগাছার আবু হেনা, সাক্কু, ধর্মপুরের শহীদুল ইসলাম চপল, ফখরুল ইসলাম রুবেল, কাউন্সিলর গাজী গোলাম সরওয়ার শিপন, কুমিল্লার সদর দক্ষিণের শ্রীমন্তপুরের দুলাল হোসেন অপু, নেউয়ারার জাকির হোসেন, পাথুরিয়া পাড়ার প্রিতুল, শাকতলা মীর পুকুর পাড়ের রবিন, কালা মোস্তফা, অশোকতলার সাইফুল ইসলাম খোকন, শ্রীভল্লভ পুরের মো: মেহেদী, পাঁচথুবির চেয়ারম্যান হাসান রাফি রাজু, শিমপুরের মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান শরীফ, শিমপুরের নিতান্ত, শ্রীভল্লবপুরের আবদুল মালেক ভূঞা, মো: খাইরুল হাসান, মো: হানিফ দুলাল, ঢুলিপাড়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শাসনগাছার জালাল, দক্ষিণ বিজয়পুরের মো: জাফর আহাম্মদ শিপন ,মোস্তফাপুরের মুন্সীবাড়ির মো: হাসান, মনোহরপুরের মোখলেছুর রহমান, বাগিচাগাওয়ের শফিকুর রহমানের ছেলে বাপ্পি, দৌলতপুরের ছায়া বিতানের জালাল (পিচ্চি জালাল), কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সোহেল, দক্ষিণ চর্থার কাউসার আহমেদ খন্দকার ও আকাশ, মুন্সেফবাড়ির ফরহাদ উল্লাহ, লক্ষীনগরের কবির হোসেন, দিশাবন্দের গোলাম মোস্তফা, দুলাল মিয়া, জিয়াউর রহমান, লক্ষীনগরের জালাল, সুজানগর চৌমুহনীর জালাল ও হানিফ। এছাড়াও আরও অজ্ঞাত ৪শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সাবেক এমপি বাহার কুমিল্লা ৬ (সদর) আসন থেকে ২০০৮ সাল থেকে নৌকার মনোনয়নে টানা ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তার বড় মেয়ে ডা. সূচনা চলতি বছরের ৯ মার্চ সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা নগরীতে সাবেক এমপি বাহারের বাস ভবন, তার মালিকানাধীন সোনালী স্কয়ার মার্কেট ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটপাট চালায়। বর্তমানে সাবেক এমপি বাহার এবং মেয়ে ডা. সূচনা দেশেই আছেন, নাকি দেশ ছেড়েছেন এ বিষয়ে নিশ্চিত কেউ তথ্য দিতে পারেনি।

আপনার মতামত লিখুন :

এর আরও খবর
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

সাবেক বিচারপতি মানিককে ডিম-জুতা নিক্ষেপ

সাবেক বিচারপতি মানিককে ডিম-জুতা নিক্ষেপ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণে ত্রাণ দিলো র‌্যাব

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণে ত্রাণ দিলো র‌্যাব

একদিনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা গণত্রাণ সংগ্রহ

একদিনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা গণত্রাণ সংগ্রহ

‘নিউক্লিয়াস পার্টি’ নামের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

‘নিউক্লিয়াস পার্টি’ নামের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

সাবেক এমপি বাহার ও মেয়েসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাবেক এমপি বাহার ও মেয়েসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈকত হাসান
বার্তা সম্পাদক : মো: আল মামুন সিদ্দিক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
ফোনঃ ০১৮৩৮৪৯৯৯৯৯
ই-মেইল : protidinerkhagrachari@gmail.com
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Design & Developed By: Raytahost .com