মোহাম্মদ শাহজাহান:: খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সোমবার (০১ জুলাই ২০২৪) সকালে জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলাল এর রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।
খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের উপর পাশের পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক যাতায়াত। এছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে।
চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। টানা বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে জেলা সদরের গঞ্জপাড়া,মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং এবং মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সকালে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি সড়কের ২৪ মাইল এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় ১ঘণ্টার মতো সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিলো।
খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের বিভিন্ন ভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল জানান,‘টানা বৃষ্টি হচ্ছে এর মধ্যে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতরা। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের স্থায়ী সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং দুর্যোগ কবলিতদের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।