স্টাফ রিপোর্টার,রাঙামাটি:: রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতোমং মারমার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াইভার ত্রিপুরাসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে শহরের রিজার্ভ বাজারের একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ মো. শাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে রোববার রাত দেড়টার দিকে শহরের রিজার্ভ বাজারের একটি হোটেলে অভিযান চালানো হয়। এসময় চেয়ারম্যান আতোমং মারমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বড়থিল ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াইভার ত্রিপুরা (৫০), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাধু চন্দ্র ত্রিপুরা (৫৩), বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সত্যচন্দ্র ত্রিপুরা (৫৯) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি সুজন ত্রিপুরা (৫৭)। গ্রেপ্তার সবার বাড়ি বড়থিল ইউনিয়নে।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, রাতে শহরের রিজার্ভ বাজারের একটি হোটেল থেকে আতোমং মারমা হত্যা মামলার চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে পাঠানো হবে।
গত ২১ মে বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আতোমং মারমা বড়থলি ইউনিয়নে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ শেষে মারমা পাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়ির উঠানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ মে তিনি মারা যান। আতোমং মারমার বড় ভাই ক্যসিমং মারমা গত ৩১ মে বিলাইছড়ি থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।