স্টাফ রিপাের্টার:: বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকুল মাজার গেটের ব্রিজ থেকে আলিনগর স্কুল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র ২০২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দে ৯৬ লাখ টাকায় মের্সসা নু কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সে কাজটির ঠিকাদারির কাজ করছেন মৌলভী সুলতান আহমেদ। কাজের শুরু থেকে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও পাথর ব্যবহারের পাশাপাশি সম্প্রতি বৃষ্টি চলাকালীন কাজগুলো করা হয়। এতে করে সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানায়, এলজিইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আতাত থাকায় ঠিকাদারে বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। যার কারণে ঠিকাদার নিজের ইচ্ছে মতো অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, ভাগ্যকুল থেকে আলী নগর পর্যন্ত সড়কটি গত বর্ষায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবার সংষ্কার কাজ চলছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ শুরু করার পর প্রকল্প এলাকায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে। কাজ চলাকালীন বৃষ্টির পানির মধ্যে কাদা মাটি ও ময়লা পরিষ্কার না করে কার্পেটিং কাজ করা হয়। এছাড়া সড়কে থাকা পুরনো পাথরগুলো পরিষ্কার না করেই একই কাজে ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, এতো নিম্নমানের কাজ করার চেয়ে না করাই ভালো। আমরা চাই তার এ কাজ বন্ধ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। তিনি আরও জানান, সরকারী উন্নয়ন সংস্থা এলজিইডির এই কাজ চলমান থাকলেও অফিসের কোন কর্মকর্তাকে কখনো কাজের সময় দেখা যায় না।
সরেজমিনে কাজের তদারকিতে থাকা ম্যানেজার বাছের জানান, ঠিকাদারের নির্দেশনা মতো আমরা কাজ করছি। আপনি ঠিকাদারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন।
জানতে চাইলে ঠিকাদার মৌলভী সুলতান আহমদ জানান, পাহাড়ে কাজ করা সবদিক থেকে সমস্যা। সবকিছু ম্যানেজ করে কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝে একটু এদিক-সেদিক হয়।
নিম্মমানের কাজের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রকল্প এলাকায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছি। ইতিমধ্যে ঠিকাদারকে ইট এবং অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নেতে বলা হয়েছে।