মো: সোহেল রানা,দীঘিনালা:: খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় কার্ডধারী দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচী উপলক্ষে পারিবারিক পর্যায়ে সহায়তা হিসেবে ছাগল ও শুকর তুলে দেয়া হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানরে উদ্বোধন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ।
রোববার (৫ মে ২০২৪) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা মৎস্য দপ্তদরের বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদের সামনে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প,রাঙ্গামাটি এর আওতায় দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচী উপলক্ষে পারিবারিক পর্যায়ে সহায়তা প্রদানে ছাগল ও শুকর বিতরণ করা হয়।
এতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিমার মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা মৎস্য আহবায়ক মিস শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য কর্তমর্তা অর্বণা চাকমা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য প্রকল্প সহকারী পরিচালন শরৎ কুমার ত্রিপুরা, মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মোছা: মাহমুদা বেগম লাকী, দীঘিনালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আবদুস সালাম ইউপি সদস্য ঘনশ্যাম ত্রিপুরা মানিক ও সাংবাদিক মো: সোহেল রানা প্রমূখ।
ছাগল বিতরনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, ছাগলগুলো নিয়ে বেঁচা কিনা করা যাবে না, এগুলোকে ভালো করে লালন পালন করে সংখ্যায় বাড়াতে হবে। একটি ছাগল বছরের দুইবার বাঁচা দেয়। ছাগলের সংখ্যা বাড়লে বেঁচে সংসারের খরচ ও ছেলে-মেয়ে পড়ালেখার খরচ চালতে পারবেন। ছাগল পালনে খরচ কম লাভ বেশি।
এতে উপজেলা ৭৫জন দরিদ্র কার্ডধারী জেলের মধ্যে ৫৩জনকে ছাগল ও ২২জনকে শুকর প্রদান করা হয়। শুকর পেয়ে কৃপাপুর এলাকার চিরজ্যোতি চাকমা ও দাদন র্কাবরী পাড়া এলাকার ফিরোজ চাকমা বলেন, সরকার ঘোষিত নিয়মনুযায়ী তিন মাস কাপ্তাই লেকের মাছ ধরা বন্ধ থাকে এসময় আমার বেকার থাকি কাজকর্ম কম থাকে সরকার আমাদের শুকর দিয়েছে এগুলো লালন পালন করতে পারবো।
মেরুং ইউনিয়নরে হনুফা বেগম ও কবাখালী ইউনিয়েনের নুর আলম ছাগল পেয়ে বলেন, কাপ্তাই লেকের মাছ ধরা বন্ধ থাকরে এসময় আমার বেশিরভাগ সময় বেকার থাকি সরকার আমাদেরকে ছাগল দিয়েছে। এগুলো লালন-পালন করে সংসারের বিকল্প আয়ের উৎস হবে, এতে করে আমাদের সংসার ও ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবো।