মো: সোহেল রানা,দীঘিনালা:: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি গোরস্থান পাড়া এলাকায় বজ্রপাতে আগুন ধরে মা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা,শুকনো খাবার ও কম্বল প্রদান করে। সহয়তা প্রদান শেষে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দূযোর্গ কারো হাত নাই। বজ্রপাতে আগুন ধরে মা-ছেলে মারা গেছে সত্যি মর্মান্তিক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০হাজার টাকা, শুকনো খাবার ও কম্বল দেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকরি ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মোছা: মাহমুদা বেগম লাকী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আবদুস সালাম,উল্লেখ্য রোববার (৫মে) ভোর ৫টার দিকে মেরুং ইউনিয়ন মধ্যবেতছড়ি গোরস্থান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মো. ছাদেক মিয়ার স্ত্রী মোছা. হাসিনা বেগম (৩০) ও পুত্র মো. হানিফ মিয়া (৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রবিবার ভোর ৫টার দিকে হাটাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়, হটাৎ ছাদেক মিয়ার বসত ঘরে বজ্রপাত পরে নিমিষেই পুরো ঘর আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরের ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছাদেক মিয়ার স্ত্রী ও পুত্র ঘরের ভেতরে আগুন পুড়ে মারা যান। এবং ছাদেক মিয়ার বড় ছেলে মো. হাবিব (৯) ফজরের নামাজের জন্য বের হয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান।
তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার পরপরই দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাশেম, থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. নুরুল হক, মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মিন্টু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোকাহত পরিবারের খোঁজখবর নেন।