স্টাফ রিপাের্টার:: মাটিরাঙ্গা পৗের এলাকার রসুলপুরে স্ত্রীকে জিম্মি করে স্বামীকে ফাঁসানোর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী। বুধবার (২৪ এপ্রিল ২০২৪) বিকালে গুইমারা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সুমী আক্তার। এ ঘটনায় গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার এ ঘটনায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮/৩০ ধারা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ৮/৯ মাস পূর্বে তাদের স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক ও সাংসারিক বিষয়-আশ্রয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি, মন-মালিন্যের এক পর্যায়ে সে রাগ করে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পিত্রালয়ে চলে আসে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে সুমী আক্তার তাহার স্বামীর নিকট হতে দেনমোহর ও খোরপোশ আদায়ের জন্য স্থানীয় নামধারী কথিত সাংবাদিক হাসান আল মামুন এর নিকট পরামর্শ চাইলে সেই সুযোগে সুমী আক্তারকে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়ে কোন কিছু বুঝতে না দিয়ে তাহার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করান। যাহা পরর্বতীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় রূপান্তরিত হয়।
এই অসহায়াত্বের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত হাসান আল মামুন পরর্বতীতে সুমী আক্তারকে তার বাসায় মাসিক ৫ হাজার টাকায় কাজ করার প্রস্তাব দিলে তার কথায় রাজী হয়ে বিগত ৮/৯ মাস পূর্ব যাবৎ বাসায় কাজ করতে শুরু করে। এর পরই শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন, কুপ্রস্তাব এবং তিন বছরের শিশুকে মারধর করে ফ্রিজের ভিতর মাথা ঢুকিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা। ২২ এপ্রিল রাতে বাড়ি ঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
এক পর্যায়ে, ১৮ এপ্রিল অভিযুক্ত হাসান আল মামুন সুমী আক্তারকে তাহার স্বামীর সহিত মিলিয়ে দিবে এমন কথা বলে সুমী আক্তারের ননদ সাক্ষী লাবনী আক্তার ও সুমী আক্তারের স্বামী জহিরুল ইসলাম জনিকে অভিযুক্তদের বাড়িতে আসতে বলে এবং সেই হিসেবে তারা হাসান আল মামুন এর বাসায় গেলে অভিযুক্তগণ সুমী আক্তারকে, সুমী আক্তারের ননদ লাবনী আক্তার ও সুমী আক্তারের স্বামী জহিরুল ইসলাম জনি প্রত্যেক কে পৃথক পৃথক কক্ষে আটকে রেখে সুমী আক্তারের নিকট ৮০ হাজার টাকা এবং লাবনী আক্তারের নিকট ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে তারা অভিযুক্তদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুমী আক্তার ও লাবনী আক্তারকে বাহিরের লোকজন দিয়ে ধর্ষণ করে টাকা আত্মসাতের হুমকি দেয়। সাংবাদিক সম্মেলনে সুমী আক্তার উল্লেখ করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনর্চাজকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সৈয়দ রাশেদ, মো. শাহ আলম, সুমী আক্তার, লাবনী আক্তার, আইয়ুব আলী, মো. সুমন, রিপন চৌধুরী, মো রুবেল উপস্থিত ছিলেন।