গুইমারা মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম
স্টাফ রিপাের্টার:: নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পার হলেও গুইমারা উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হইনি। অত্যন্ত ধীর গতিতে এগুচ্ছে মসজিদ নির্মাণ । ২০২১-২২ অর্থ বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪ সালে কাজের অগ্রগতি পনের শতাংশ। মূল ভবনের কাজ এখনো শুরু হয়নি। মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে।
অভিযোগ আছে, পিলারে ভয়াবহ ত্রুটিপূর্ণ কাজ করা হয়েছে। মাটি ভরাট করে পিলার নির্মাণের ত্রুটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। শুরু থেকেই আলগা মাটির উপর ফাউন্ডেশন,মরিচা ধরা লোহা, লোকাল বালু ও নিম্নমানের ইটের ব্যবহার,সিমেন্টের পরিমান কম দেয় হয়েছে। নির্মাণের জন্য স্তুপ করা রডেও মরিচা ধরে গেছে। কাজের বিবরণের সাইনবোর্ড টানানোর নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গুইমারা মডেল মসজিদটি নির্মাণে চল্লিশ ফুট মাটি ভরাট করা হয়েছে। যার জন্য কাটা হয়েছে পাহাড়। আর এতে এক কোটি টাকার বেশী টাকার অপচয় হয়েছে। আলগা মাটি হওয়াই বর্ষাকালে মাটি ধ্বসের আশংকা রয়েছে। যা মডেল মসজিদটি নির্মাণের পর ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৭ কোটি টাকা। গুইমারা মডেল মসজিদের নির্মাণ ব্যয় ১৭ কোটি টাকা। মসজিদটির নির্মাণ কাজ করছেন শেখ হেনায়েত হোসেনের মালিকানাধীন মেরিনা কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২২ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দুই বছর পার হতে চললেও এখনো প্রায় পঁচাশি শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। কাজ বাকী থাকলেও কাজের অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ পর্যন্ত কাজের বিপরিতে তিন কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে গণপুর্ত বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।
কাজের বিপরিতে টাকা উত্তোলনের পরিমান ১ কোটি টাকার বেশি। নির্মাণ কাজে গাফিলতির কারণে মসজিদের নির্মাণের কাজ খুবই ঢিলে। যেটুকু কাজ শেষে হয়েছে সেটাও নিম্নমানের কাজ হয়েছে। দরপত্র অনুযায়ী কাজটি হচ্ছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরিনা কন্সট্রাকশনের অংশিদার ফারুক অভিযোগের বিষয়ে বলেন, নতুন করে কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন, নিম্নমানের কাজের সঠিক না মন্তব্য করে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের খাগড়াছড়ি র্নিবাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম আহমদ বলেন,আপনারা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেন। আমি কিছু বলতে পারব না।