স্টাফ রিপাের্টার:: হারানো ৩৩ মোবাইল উদ্ধার খাগড়াছড়ি পুলিশ। এসব ছিনতাই হওয়া মোবাইল, হারানো মোবাইল ও চোরাই মোবাইল উদ্ধারে চট্টগ্রাম রেঞ্জের প্রতিটি ইউনিটকে জোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন।চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম এর নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুুক্তা ধর, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলার ৯টি থানা থেকে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত জিডি ও অভিযোগ সংগ্রহ করে খাগড়াছড়ি সাইবার ইনটেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।
তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ ও ব্যবহার করে মাত্র ৭ দিনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকদের নিকট রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসব ফোন হস্তান্তর করেন,খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
হারানো মোবাইল হাতে পেয়ে অনেকে আবেগে আপ্লুত।কেউবা আবার আনন্দিত। পানছড়ি থানা থেকে আগত মোঃ হালিম ফোন পেয়ে বলেন, “আমি পেশায় একজন শ্রমিক। পানছড়ি সিমান্তগামী মহাসড়কে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করছি। গত ২ মাস পূর্বে আমার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়।
আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে মোবাইল ফোনটি কিনে ছিলাম। শখের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে আমি মনে প্রচন্ড কষ্ট পাই। কোন উপায় না পেয়ে আমি পানছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। আমি ভেবে ছিলাম হারানো মোবাইল ফোনটি আর কখনোই ফিরে পাবো না। আজ যখন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার স্যার আমার হাতে আমার হারানো মোবাইল টি তুলে দিলেন তখন আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারের আমাদের এই কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আমি ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিটি থানা ও ইউনিটকে এই বিষয়ে জোর তাগিদ প্রদান করেছি। খাগড়াছড়ি জেলাবাসীদের প্রতি আমার আহবান থাকবে আপনাদের শখের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আপনারা সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করবেন।
আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব আপনাদের শখের মোবাইলটি আপনাদের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং পাশে থাকব। আমাদের খাগড়াছড়ি সাইবার ইনটেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট আপনাদের সার্বক্ষণিক সকল প্রকার সাইবার সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।