স্টাফ রিপোর্টার:: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা খেদাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল ইসলাম এর হাতে। গত ২৫ জানুয়ারী দুপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সরজমিনে পরিদর্শন কালে চাঞ্চলকর এ ঘটনার নানা তথ্য বের হয়ে আসে। সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই টানা তিন কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন অভিযুক্ত শিক্ষক মো:নুরুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলাম স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে আবেদন পত্রে ব্যাক ডেইটে ছুটি মঞ্জুর করতে বলেন তিনি। তাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এতে বাঁধা বিপত্ত। ক্ষিপ্ত হয়ে ফিল্মি স্টাইলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই ইট দিয়ে তার মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে। এতে মাথায় ফেটে শরীর রক্তাক্ত ও ইট ভেঙ্গে অন্তত ৩ টুকরো হয়ে যায়।
পরে সহকর্মী স্কুল শিক্ষকরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিকটস্থ খেদাছড়া বিজিবি চিকিৎসা কেন্দ্র (এম আই রুম) নিয়ে গেলে মাথায় ৬ সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জানান, পাশের রুম থেকে চিৎকার শুনে কক্ষে গিয়ে দেখি নুর ইসলাম স্যারের ইটের আঘাতে ইকবাল স্যারের মাথায় রক্ত ঝরছে। এ ধরনরে ঘটনা কারো কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভুক্তভোগি প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে বলেন, সহ প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম একজন উগ্রবাদি মানুষ। তার কাছে স্কুলের কেউই নিরাপদ নয়। গত ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে ব্যাবহারিক পরীক্ষার ভাতা বিতরণকে কেন্দ্র করে হামলা করতে চাইলে উপস্থিত শিক্ষকরা রক্ষা করে আমাকে। জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিস্পত্তি করেন বলে তিনি জানান।
হামলা মারধরের বিষয়ে বিস্তারতি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলাম মারধরের ঘটনার বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে-গোমতি বি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নুরুল হুদা, প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে মারধরের ঘটনার সংবাদ প্রকাশ না করতে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে সাংবাদিকদের সাথে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানান উপস্থিত সাংবাদিকরা। উক্ত ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টায় এ ধরনের আচরণ বলে মনে করছে সচেতন সমাজ।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে ৭দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে উভয়কে লিখিত জবাব দিতে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ কমল কৃঞ্চ ধর জানান, ঘটনার বিষয় ভুক্তভোগি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।