স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এ সময় কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘কিছু কিছু পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেল মালিকের অসততা, অপেশাদারিত্ব এবং অসচেতনতার কারণেই দেশে হলুদ সাংবাদিকা বাড়ছে। তবে অপসাংবাদিকতা রোধে কাজ করছে প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউট।
ইতোমধ্যে দেশের ৩৪টি জেলার পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলার প্রকৃত গণমাধ্যমকর্মীদেরকে প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম অভিজ্ঞতা যাদের তাদের অবশ্যই গ্যাজুয়েট হতে হবে।’
প্রেস কাউন্সিলের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘বর্তমানে মূল স্রোতধারার সংবাদকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। পরিচয় সংকটে ভুগছেন। অপেশাদারিত্ব এবং অপেশাদার প্রতিষ্ঠান গজিয়ে ওঠায় দিন দিন এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদের এ ব্যাপারে সচেতনতা জরুরী।’
জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ৩৬ জন গণমাধ্যমকর্মী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে দুপুরে প্রশিক্ষণ নেওয়া সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।