স্টাফ রিপাের্টার:: কৃষিতে নতুন নতুন উদ্ভাবন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সরকারের প্রণোদনাসহ কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সমন্বিত সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকরা। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন, অপরদিকে দিনদিন পাহাড়ে কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।
সম্প্রতি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মাল্টা বাগানে সমন্বিত সবজি চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক আব্দুল হাকিম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক একর (১০০ শতক) জমিতে গত দু’বছর আগে ১৬০টি মাল্টার চারা দিয়ে বাগান করেন। একই জমিতে মিষ্টি কুমড়া, টমোটো, মরিচ, বারিশিম-১, ধনেপাতা, বাঁধাকপি গোল আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল হাকিম। এতে একই জমিতে বছরে মাল্টা ছাড়াও একাধিক সবজি চাষ করে স্থানীয়ভাবে সবজির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অপরদিকে, মাল্টা গাছের জন্য আলাদাভাবে পরিচর্জার প্রয়োজন হয় না।
কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এই জমিতে ধান চাষ করে যা লাভ হতো, মাল্টা চাষ ও মাল্টাক্ষেতে সমন্বিত সবজি চাষ করে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি লাভ হচ্ছে। এ বছর মিষ্টি কুমড়া, টমোটো, মরিচ, বারিশিম-১, ধনেপাতা, গোলআলু চাষ করেছি। গত বছর মৌসমে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় দুই লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছি। এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা সবজি চাষে ব্যয় হয়েছে। এ বছর ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিতভাবে চাষ করলে ব্যবসার চেয়ে কৃষিকাজ করে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যায়। কুষিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ব্যবসার পাশাপাশি সবজি চাষ করে আমি আজ সফল। কৃষিবিদ ও উপসহকারী দেবাশীষ চাকমা জানান, আব্দুল হাকিম কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে সমন্বিত চাষাবাদ করে সফলতার পেয়েছেন। তাই তার সফলতা দেখে অনেকেই সমন্বিত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, পাহাড়ের মাটি ও আহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়। যে কারণে স্বল্পপুঁজি নিয়ে কৃষিক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হতে পারেন। তাছাড়া কৃষিতে আধুনিকায়নের ফলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সরকারের প্রণোদনা, কৃষি বিভাগের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সার্বিক সহযোগিতায় দিনদিন কৃষকরা কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন।