স্টাফ রিপোর্টার:: গণতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছিলো বারবার। আর সে গণতন্ত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব আবার গণতন্ত্রকে পূর্নরুদ্ধার করেছে। এই উদ্ধারে পর থেকে যারা ষড়যন্ত্রকারী ৭১ মুক্তি যুদ্ধের পরাজিত শক্তি। তারা সকলে মিলে আমাদের এই দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পারেনি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি ২০২৪) বিকেল সাড়ে ৪টায় খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর মুক্ত মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এপি তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগন সকল ক্ষমতার উৎস। জনগনেই শক্তি। নির্বাচনের এ বিজয়টা আমাদের গণতন্ত্র বিজয়। উৎসবমূখর একটা নির্বাচন হয়েছে। যে কারণেই আজকে শুধু দেশেয় নয়, বিদেশীদের কাছেও গ্রহনযোগ হয়েছে, প্রসংশীত হয়েছে। এই বিজয়ের মালা, এ বিজয়ের প্রসংশা দাবীদার হচ্ছেন আপনারা (জনগন)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন,পার্বত্য অঞ্চল দীর্ঘ দিন ধরে আমরা অবহেলায় ছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেত্বতে ১৯৯৭ সাল ২ ডিসেম্বর যে শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল সেই শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সামিল হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল গোষ্ঠী, সকল সম্প্রদায়, সকল ধর্ম যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সেটায় প্রমাণ করে এটায় বাংলাদেশ। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে টানা তিনবার ২৯৮ নং আসনে নির্বাচিত সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদানের পর আজ নিজ নির্বাচনী এলাকা খাগড়াছড়িতে আসার পথে রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা উপজেলার দলীয় কার্যালয় ও অসংখ্য এলাকাবাসীর ফুলের শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন সিক্ত হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নব নিযুক্ত মন্ত্রীসভার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদানের পর প্রথমবারের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকা খাগড়াছড়িতে ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আসলেন তিনি।
এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী মল্লিকা ত্রিপুরা,খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মংক্যচিং মারমা, এড. আশুতোষ চাকমা, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদকদিদারুল আলমসহ সিনিয়র নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।