প্রতিনিধি,রাঙামাটি:: ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ চালুর আনন্দ শোভাযাত্রায় সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে খুন হয় মনির হোসেন। তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ বছরেও সে হত্যার বিচার হয়নি। তার সে অবদানের কথা আজ কারো মনে নেই। মনিরের পরিবারকেও দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুযোগ সুবিধা।
তাই মনিরের অবদানকে স্মরনিয় করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজের একটি হল ‘শহীদ মনিরের’ নামে নামকরণ করাসহ তার পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়া ও পুনর্বাসন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী ২০২৪) সকাল ১১টায় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের গেইটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি পৌর সভাপতি মো: পারভেজ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন কবির, পিসিসিপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, রাঙামাটি জেলার সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, রাঙামাটি পৌর শাখার সহ-সভাপতি রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারের কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকার যখনই হাতে নেয় তখনই এই জেএসএস নামধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এই বাঁধা শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রে নয়, সড়ক যোগাযোগ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও সামাজিক অগ্রগতি সব ক্ষেত্রেই বাঁধা দান করে উগ্র এই গোষ্ঠীটি।
একই সময়ে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও জেএসএস (সন্তু) সন্ত্রাসীরা বাঁধা সৃষ্টি করেছিলো, তারা তাদের ছাত্র সংগঠন পিসিপিকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সেসময়ে তারা শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের হুমকি দিয়েছিলো। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে আধুনিকতা ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে তাদের দমিয়ে রেখে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার করে ত্রাস সৃষ্টি করে রাখতেই শিক্ষা বিস্তারে ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করে আসছে পাহাড়ের এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।
মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি পৌর শাখা জোর দাবি জানায়- অবিলম্বে শহীদ মনির হোসনের নামে মেডিকেল কলেজের একটি হলের নামকরণ করতে হবে এবং তার পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে ও একই দিন জেএসএস সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরতর আহত জামাল হোসেনকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অবিলম্বে মেডিকেল কলেজ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরুকরতে হবে, অন্যথায় পিসিসিপি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।