নীবর চৌধুরী বিটন,স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়ি সদরের পশ্চিম গোলাবাড়ি ত্রিপুরাপাড়া রাবারবাগান এলাকায় কালর্ভাটটি দেবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে তিন বছর ধরে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির তীব্র স্রোতে অপউযোগি হয়ে পড়ার তিন বছরেও এখনো সেভাবেই পড়ে আছে।
পশ্চিম গোলাবাড়ি ত্রিপুরাপাড়া, মুনসিপাড়া, খেদাপাড়া, আলুটিলা, রামচৌধুরী বাগান, দৈইল্যাছড়া, হিলছড়িসহ দুর্গম সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াত করছে কালভার্টের পাশ দিয়ে। দুর্ভোগে পড়ছে দুর্গম সাত গ্রামের মানুষরা।
স্থায়ীরা জানান, এখন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান ক্ষেতে কোনো প্রকার গাড়ি যেতে পারছে না। ধান বয়ে আনতে হয়। অনেক টাকা ব্যয় হচ্ছে। ভারি মালামাল মাথায় ও কাঁধে বয়ে হেঁটে নিয়ে যেতে হয় গ্রামে ও হাঁট-বাজারে। তাছাড়া যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত বেহাল অবস্থা। বাঁশ পুতে নিয়ে পারাপার। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে মানুষরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে পশ্চিম গোলাবাড়ি ত্রিপুরাপাড়া দেবে যাওয়া কালভার্টে গিয়ে দেখা যায়, তিন বছরে জঙ্গলের লতা-পাতায় কালভার্ট ঢেকে যাচ্ছে। সাত গ্রামের পাহাড়ি মানুষরা দেবে যাওয়া কালর্ভাটের নিচে দিয়ে যাতায়াত করছে। কালভার্ট নির্মাণ না করায় দুর্ভোগে পড়ছে দুর্গম এলাকার মানুষরা।
পশ্চিম গোলাবাড়ি বাসিন্দা ত্রিদীপ ত্রিপুরা, উসেপ্রু মারমা, মংসানু মারমা, পেচিংমং মারমা বলেন, তিন বছর হয়েছে কালর্ভাট পড়ে আছে। আমরা সাত গ্রামের মানুষরা কীভাবে গ্রামে যাতায়াত করে কেউ দেখতে আসে না, কেউ ভাবে না। একমাত্র ভরসা ছড়া পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বৃষ্টি পড়লে ছড়ার পানি বেড়ে গেলে বড়রা যাতায়াত করতে পারে না। তখন যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। গ্রামের বিভিন্ন ফলের বাগান আছে। ফলন কষ্ট করে কাঁধে করে বয়ে সড়কে নিয়ে আসতে হয়। দুর্ভোগের শেষ নেই।
পশ্চিম গোলাবাড়ি কারবারি (পাড়া প্রধান) জ্ঞানহেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, তিন বছর ধরে পড়ে আছে কালভার্টটি। এতগুলো মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। জনগণের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। বারবার মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বলেছি যাতে দ্রুত কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়।
খাগড়াছড়ি সদরের গোলাবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার রাম কুমার ত্রিপুরা বলেন, তিন বছর আগে ভারি বৃষ্টি দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ছড়ার ওপর কালভার্ট দেবে গেছে। কালভার্টটি এখন অকেজো। মানুষজন কষ্ট করে ছড়া নিয়ে যাওয়া-আসা করছে। আমার চেয়ারম্যানের সাথে একাদিক বার বসেছি।
খাগড়াছড়ির গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। যদি পাশ হয়ে আসলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।