স্টাফ রিপোর্টার:: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দৈনিক খোলা কাগজ জেলা প্রতিনিধি ও মাটিরাঙ্গায় কর্মরত পার্বত্য নিউজ প্রতিনিধি মো: এনামুলর হক কে হাত পা ভেঙ্গে ফেলাসহ হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হুমকি দাতা মো: আবু বক্কর ছিদ্দিক একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্যালেঙ্কারীসহ একাধিক প্রতারণার অভিযুক্ত মাটিরাঙ্গা বনশ্রী বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষক। বুধবার (২৯ নভেম্বর ২০২৩) সকাল সাড়ে দশটায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কক্ষে এ হুমকি দেয়া হয় তাকে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কর ও সাংবাদিক এনামুল হক স্কুল জীবনের ভালো বন্ধু ছিলো। সে সূত্রে বক্কর মাস্টারসহ উভয় পরামর্শ ক্রমে অনিবন্ধিত মাটিরাঙ্গা বহুমুখি সমবায় সমিতি লি: পরবর্তীতে (রেজিং:২৮৯ মাটি, খাগড়াছড়ি)দর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয় এনামুল হক। পেশা গত দায়িত্বের কারণে তিনি ঢাকায় থাকেন।
পরে তাই সরল মনে বন্ধুত্বের বিশ্বাসে প্রয়োজনীয় ডুকোম্যান্ট রাখা হয় বক্কর মাস্টারের কাছে। পরবর্তীতে সমিতি নিবন্ধন কালে জালিয়াতী করে এনামুল হকের স্থলে বক্কর মাস্টারের কাগজ পত্র দিয়ে সমিতির নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করে।
বিষয়টি জানা জানি হলে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষে গত ১৬ নভেম্বর ২০১২ সমিতির সভাপতি বরাবর আবেদন করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে ৬ মার্চ ২০১৩ ইং সন্ধায় সমিতির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার মান্যগন্য গনের উপস্থিতে শালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির শেয়ারভ্যালু বিবেচনায় সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বাদি বিবাদি উভয়ের স্বাক্ষরে শালিশ নামায় ৩০ মার্চ ২০১৩ইং তারিখের মধ্যে বাদি এনামুল হক কে ৯০ হাজার ফেরৎ দেয়ার সিধান্তে উপনিত হয়।
তবে স্বাক্ষরিত শালিশ নামা বাদি কে না দিয়ে তৎকালীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন নিয়ে যায় এবং শালিশ নামার ফটোকপি বাদিকে দেওয়া হয়। সমিতির সিদ্ধান্তের পর আত্মসম্মান বিবেচনায় বিচারের জন্য কারো সরনাপর্ন না হয়ে নিকটস্থদের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়।
সর্বশেষ মাটিরাঙ্গা সেনা জোনে লিখিত আবেদনের সিদ্ধান্ত নিলে সে জানতে পেরে বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেখা হলে সাংবাদিক আবু রাসেল সুমন ও অফিস সহকারী মামুনুর রশিদের সামনে এনামুল হকের হাত পা ভেঙ্গে হত্যার হুমকি দেয় মো: আবু বক্কর ছিদ্দিক।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হুমকিদাতা মো: আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, আমার আর তার মধ্যে এক সময় সম্পর্ক ছিলো। সে পেইজ বুকে স্ট্যাটাস কি দিয়েছে দেখেন। সে সূত্র ধরে তার হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়টি অন্য এক ব্যাক্তির সাথে তিনি শেয়ার করেছেন বলে স্বীকার করেন।