স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়ি ধর্মপুর আর্য বন বিহারে ২৯তম দানোত্তম কঠিন উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (০৩ নভেম্বর ২০২৩) সকালে এ উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় পঞ্চশীল গ্রহণের পর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান,অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডু দানসহ নানা বিধ দান ও স্বধর্ম শ্রবণ করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা।
বিকেলে বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা কঠিন চীবরটি দান করবেন বৌদ্ধ নর-নারীরা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড় বুনে চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় কাপড়) তৈরি করা কঠিন চীবরের মূল আকর্ষণ। যা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মীয় শাস্ত্র মতে, গৌতম বুদ্ধের অনুসারী মহা উপাসিক বিশাখা কতৃর্ক প্রবর্তিত রীতি অনুসারে এ চীবর প্রস্তত কষ্টদায়ক এবং কঠিন হলেও এ চীবর প্রস্তুত করে তা ভিক্ষু সংঘের হাতে তুলে দেওয়া সব দানের মধ্যে উত্তম দান অধিক পুণ্যময়।
কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ভান্তে, ধর্মপুর আর্য বন বিহারের বিহারধ্যক্ষ ভদ্দজী মহাস্থবির ভান্তে, শীলাচার অরণ্য কুঠিরের বিহারধ্যক্ষ জ্ঞান জ্যোতি মহাস্থবির ভান্তেসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ হাজারের বেশি বৌদ্ধ নর-নারী কঠিন চীবর দানে অংশ গ্রহণ করেন।
ধর্মপুর আর্য বন বিহার ছাড়াও য়ংড বৌদ্ধ বিহার, পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির, দীঘিনালা বন বিহার ও দীঘিনালা বাবুছড়া লুম্বিনী বেনু বন বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সুষ্ঠু পরিবেশে উদযাপনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
সূত্র: বাংলা নিউজ।