সব
facebook raytahost.com
শৈল্পিক মৌনতা ও ইস্পাতকঠিন নেতৃত্বের অনন্য এক ক্যানভাস বেগম জিয়া | Protidiner Khagrachari

শৈল্পিক মৌনতা ও ইস্পাতকঠিন নেতৃত্বের অনন্য এক ক্যানভাস বেগম জিয়া

শৈল্পিক মৌনতা ও ইস্পাতকঠিন নেতৃত্বের অনন্য এক ক্যানভাস বেগম জিয়া

বাংলাদেশের রাজনীতির ধুলো-মলিন ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া এক আশ্চর্য ধাঁধার নাম। এই ধাঁধার উত্তর মিলতে পারে কেবল তার চোখের গভীরতায় আর নীরবতার ভাষায়। সচরাচর রাজনীতির মাঠ মানেই আমরা বুঝি গগনবিদারী চিৎকার, কাদা ছোঁড়াছুড়ি, আর অশালীনতার এক মহোৎসব। কিন্তু এই কোলাহলের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে থেকেও কীভাবে নিজের আভিজাত্য, শিষ্টাচার আর গাম্ভীর্য বজায় রাখা যায়, তার এক জীবন্ত পাঠশালা হলেন বেগম জিয়া। তাকে নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে শব্দটি মনে আসে, তা হলো ‘আভিজাত্য’।

তবে এই আভিজাত্য কেবল দামী শাড়ি বা কেতাদুরস্ত সাজসজ্জার নয়, এই আভিজাত্য আচরণের, এই আভিজাত্য ব্যক্তিত্বের। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি এমন এক চরিত্র, যার মধ্যে অদ্ভুত এক স্ববিরোধিতার সহাবস্থান দেখা যায়, তিনি একই সাথে ভীষণ কোমল আবার প্রয়োজনে বজ্রের মতো কঠোর। তার এই বহুমাত্রিক চরিত্র তাকে সমসাময়িক আর সব রাজনীতিবিদ থেকে আলাদা করে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তার শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, দৃঢ়তা আর প্রজ্ঞার গল্পগুলো কেবল বিএনপির দলীয় সম্পদ নয়, বরং জাতীয় ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে কীভাবে তিনি রাষ্ট্রনায়ক এবং পরবর্তীতে ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ হয়ে উঠলেন, সেই যাত্রাপথে তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল মেপে ফেলা, সংযত এবং দূরদর্শী।

রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ এখন জাদুঘরে রাখার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গিয়ে অশালীন বাক্যবাণ ছোঁড়া এখনকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রের শিষ্টাচার মেনে চলার ক্ষেত্রে ছিলেন আপসহীন। সংসদে দাঁড়িয়ে বা জনসভায়, তিনি কখনোই প্রতিপক্ষের নাম ধরে কুৎসিত বা অরুচিকর কোনো মন্তব্য করেছেন বলে শোনা যায়নি। এমনকি চরম উত্তেজনাকর মুহূর্তেও তার শব্দচয়ন ছিল মার্জিত।

তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন বিরোধী দলকে স্পেস দেওয়ার মানসিকতা দেখিয়েছেন, আবার যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন, তখনও সরকারি দলের প্রতি তার সমালোচনার ভাষা ছিল তীক্ষ্ণ কিন্তু শালীন। এই যে নিজেকে ধরে রাখার ক্ষমতা, এটা একদিনে তৈরি হয়নি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর যখন তিনি রাজনীতির এই কণ্টকাকীর্ণ পথে পা বাড়ালেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন এই ‘লাজুক’ বধূটি রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝবেন না। কিন্তু তিনি সবাইকে ভুল প্রমাণ করলেন তার সহজাত ধীরস্থির স্বভাব দিয়ে। তিনি কথা বলতেন কম, শুনতেন বেশি। আর যখন সিদ্ধান্ত নিতেন, তখন সেটা হতো পাথরে খোদাই করা লেখার মতো অমোচনীয়। এই স্বল্পভাষী স্বভাব তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ কেবল বাড়িয়েই দিয়েছে।

তার চরিত্রের আরেকটি উজ্জ্বল দিক হলো ‘দৃঢ়তা’। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় আমরা তার এই রূপটি প্রথম স্পষ্টভাবে দেখতে পাই। এরশাদ সরকার যখন তাকে নানা প্রলোভন আর ভীতি প্রদর্শন করছিল, তখন তিনি ছিলেন অনড়। আপসহীন নেত্রী হিসেবে তার যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, তা কোনো মিডিয়ার তৈরি করা গল্প নয়। এটি রাজপথের রোদে পুড়ে, টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় চোখ ভিজিয়ে অর্জন করা।

সেই সময় অনেক বাঘা বাঘা নেতা যখন আপসকামিতার চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বেগম জিয়া একাই যেন বাতিঘর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তার এই দৃঢ়তা কেবল স্বৈরাচার পতনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ওয়ান-ইলেভেনের ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় তাকে দেশত্যাগ করার জন্য যে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়েছিল, তা যেকোনো সাধারণ মানুষকে ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ট ছিল। তার দুই ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল, সৌদি আরবে চলে যেতে। বিমানবন্দরে সবকিছু প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি সেদিন যে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন, তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেছিলেন, “বিদেশে আমার কোনো ঠিকানা নেই, এই দেশই আমার সব। মরলে আমি এই দেশেই মরব।” এই একটি সিদ্ধান্ত তাকে রাজনীতিক থেকে রাষ্ট্রনায়কের কাতারে নিয়ে গেছে। কারণ তিনি জানতেন, তিনি দেশ ছাড়লে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া হবে। তার এই ‘না’ বলার সাহস তাকে অনন্য করে তুলেছে।

রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বা দূরদর্শিতার কথা যদি বলি, তবে বেগম জিয়ার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আজ সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তিনি যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন তিনি বুঝেছিলেন যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারীদের ঘরের বাইরে আনতে হবে। কিন্তু সেটা জোর করে নয়, বরং শিক্ষার মাধ্যমে। তার প্রবর্তিত নারী শিক্ষা অবৈতনিক করা এবং উপবৃত্তি চালু করার সিদ্ধান্তটি ছিল এক নীরব বিপ্লব। আজ যে পোশাক শিল্পে লক্ষ লক্ষ নারী কাজ করছেন, তাদের ভিত্তি কিন্তু তৈরি হয়েছিল সেই নব্বইয়ের দশকে। তিনি বুঝেছিলেন, গ্রামের মেয়েটির হাতে টাকা দিলে সেটা তার পরিবারের কল্যাণেই ব্যয় হবে। এটি ছিল তার এক গভীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রজ্ঞা। এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন নিষিদ্ধ করা বা সামাজিক বনায়নের মতো উদ্যোগগুলো প্রমাণ করে যে তিনি কেবল আগামী নির্বাচন নিয়ে ভাবতেন না, তিনি ভাবতেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে। মুক্তবাজার অর্থনীতিকে পুরোপুরি গ্রহণ করে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসার দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। তার সময়েই টেলিযোগাযোগ খাতে যে বিপ্লব শুরু হয়েছিল, তা আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত গড়ে দিয়েছে। তিনি জানতেন, বিশ্বায়নের এই যুগে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। তার এই আধুনিক মনমানসিকতা অনেক তথাকথিত প্রগতিশীলদের চেয়েও এগিয়ে ছিল।

তার সৌজন্যবোধের আরেকটি উদাহরণ হলো দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার সম্পর্ক। তিনি কেবল নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন তাদের অভিভাবক। দলের চরম দুঃসময়ে তিনি যেভাবে কর্মীদের আগলে রেখেছেন, তা এক বিস্ময়। বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের তিনি সবসময় সম্মান দিয়ে কথা বলতেন, আবার তরুণদের তিনি উৎসাহ দিতেন। তিনি যখন কোনো কর্মীর মৃত্যুর খবর শুনতেন, তখন ছুটে যেতেন, সান্ত্বনা দিতেন। এই যে মানবিক গুণাবলী, এটা তাকে কর্মীদের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে। তিনি কখনো ক্ষমতার দম্ভ দেখাননি। তার চলাফেরা, তার কথা বলার ভঙ্গি—সবকিছুর মধ্যেই এক ধরনের মাতৃসুলভ মমতা জড়িয়ে থাকত। এমনকি তার রাজনৈতিক বিরোধীরাও একান্তে স্বীকার করেন যে, ব্যক্তিগত আলাপে বেগম জিয়া অত্যন্ত অমায়িক একজন মানুষ। তিনি প্রতিপক্ষের ভালো কাজের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করতেন না, যদিও রাজনীতিতে সেই সংস্কৃতি এখন প্রায় বিলুপ্ত।

বেগম জিয়ার চরিত্রের আরেকটি দিক যা তাকে অনন্য করেছে, তা হলো তার সহিষ্ণুতা। গত দেড় দশকে তার ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, তা অকল্পনীয়। একাকী কারাবাস, অসুস্থতা, চিকিৎসার অভাব—সবকিছু তিনি সহ্য করেছেন অবিশ্বাস্য এক ধৈর্যের সাথে। তিনি কোনো অভিযোগ করেননি, কোনো আর্তনাদ করেননি। এই যে নীরব থাকার শক্তি, এটা তিনি কোথায় পেলেন? হয়তো তার গভীর ধর্মবিশ্বাস এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাকে এই শক্তি জুগিয়েছে। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তিনি যখন গুলশান কার্যালয়ে ছেলের লাশ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন, তখন তার চেহারায় যে শোকের ছায়া ছিল, তা দেখে পুরো দেশ কেঁদেছিল। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। তিনি জানতেন, তিনি ভেঙে পড়লে তার দল ভেঙে পড়বে, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ হতাশ হবে। তাই তিনি নিজের শোককে নিজের ভেতরেই পাথরচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। এই আত্মত্যাগ, এই সংযম—এগুলোই তাকে ‘দেশনেত্রী’ বানিয়েছে।

বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্ক স্থাপনেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত কৌশলী ও প্রজ্ঞাবান। তিনি নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব, কিন্তু কারো কাছে মাথা নত করে নয়। তার এই স্বাধীনচেতা মনোভাব তাকে আন্তর্জাতিক মহলেও সমীহের পাত্রে পরিণত করেছিল। তিনি যখন বিশ্বনেতাদের সাথে কথা বলতেন, তখন তার মধ্যে কোনো হীনম্মন্যতা কাজ করত না। তিনি জানতেন তিনি কার প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি এক স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। তার এই ব্যক্তিত্বের দ্যুতি বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছিল।

তিনি এমন এক সময়ে হাল ধরেছিলেন যখন বিএনপি ছিল এক ভঙ্গুর দল। সেখান থেকে তিনি দলটিকে তিনবার ক্ষমতায় এনেছেন। এটা কেবল ভাগ্যের জোরে হয়নি, এটা হয়েছে তার রাজনৈতিক মেধা আর পরিশ্রমের ফলে। তিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া চষে বেড়িয়েছেন। রোদে পুড়েছেন, বৃষ্টিতে ভিজেছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে তিনি রাজনীতি করেননি। তিনি মানুষের চোখের ভাষা বুঝতেন। মানুষ কী চায়, মানুষের কষ্ট কোথায় এটা তিনি অনুভব করতে পারতেন। তাই তো তিনি যখন রোডমার্চ করতেন, তখন রাস্তার দুই পাশে মানুষের ঢল নামত। এই মানুষগুলো তাকে একনজর দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকত।

তার মতো এমন সর্বজনগ্রাহ্য, এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা আজ বড় বিরল। তার শিষ্টাচার আমাদের শেখায় যে, প্রতিপক্ষের সাথে দ্বিমত থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে অসম্মান করা যাবে না। তার দৃঢ়তা আমাদের শেখায় যে, নীতির প্রশ্নে কখনো আপস করতে নেই। আর তার প্রজ্ঞা আমাদের শেখায় যে, কেবল আবেগ দিয়ে দেশ চলে না, দেশ চালাতে লাগে দূরদর্শী পরিকল্পনা। তিনি কেবল একটি দলের নেতা নন, তিনি একটি সময়ের প্রতীক। নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশক বাংলাদেশের রাজনীতির প্রতিটি বাঁকে তার উপস্থিতি ছিল অনিবার্য।

পরিশেষে বলা যায়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধ্রুপদী চরিত্র। তার শিষ্টাচার তাকে দিয়েছে সম্মান, তার দৃঢ়তা তাকে দিয়েছে শক্তি, আর তার প্রজ্ঞা তাকে দিয়েছে অমরত্ব। রাজনীতির ময়দানে তিনি এক নিঃসঙ্গ শেরপা। যিনি পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছেন, আবার পাহাড় থেকে খাদে পড়েছেন, কিন্তু কখনোই হাঁটা থামাননি। তার এই চলা, এই সংগ্রাম, এই নীরবতা সবকিছু মিলিয়েই তিনি অনন্য।

তিনি আমাদের জন্য এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যার আলো কোনো মেঘ দিয়েই ঢেকে রাখা সম্ভব নয়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন গণতন্ত্রের সংগ্রাম থাকবে, ততদিন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উচ্চারিত হবে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে। সমগ্র দেশ আজ শুধুমাত্র বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করছে না, সাথে কামনা করছে একটি আদর্শের সুস্থতা। যে আদর্শ আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে ও বাচতে শেখায়।

লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও সদস্য, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
Email : msislam.sumon@gmail.com

আপনার মতামত লিখুন :

ব্যালট বিপ্লবের এক অপরাজেয় কিংবদন্তি বেগম জিয়া

ব্যালট বিপ্লবের এক অপরাজেয় কিংবদন্তি বেগম জিয়া

চুক্তি’র ২৮ বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

চুক্তি’র ২৮ বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

খাগড়াছড়িতে ‘বিএফএফ-সমকাল বিজ্ঞান বিতর্ক অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়িতে ‘বিএফএফ-সমকাল বিজ্ঞান বিতর্ক অনুষ্ঠিত

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন

সাংবাদিকতার দায়িত্বহীনতা সমাজকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে

সাংবাদিকতার দায়িত্বহীনতা সমাজকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে

চলে গেলেও তিনি বেঁচে আছেন মানুষের হৃদয়জুড়ে

চলে গেলেও তিনি বেঁচে আছেন মানুষের হৃদয়জুড়ে

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈকত হাসান
বার্তা সম্পাদক : মো: আল মামুন সিদ্দিক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
ফোনঃ ০১৮৩৮৪৯৯৯৯৯
ই-মেইল : protidinerkhagrachari@gmail.com
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Design & Developed By: Raytahost .com