স্টাফ রিপোর্টার:: খাগড়াছড়ি জেলা কারাগার থেকে দুই কয়দেী পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে থাকা ছয় কারারক্ষীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেল সুপার শাহাদত হোসেন।
বরখাস্ত হওয়া তিন কারারক্ষীরা হচ্ছে— মো. রবিউল, পুল্টন চাকমা ও সাইফুল ইসলাম। বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে সোবেদার মোতালেব হোসেন, প্রধান রক্ষী মো. মির হোসেন ও কারারক্ষী মো. ইয়াছিনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর সোমবার (১০ নভেম্বর ২০২৫) সকালে চট্টগ্রাম ডিআইজি প্রিজন সগির ভূঁইয়া খাগড়াছড়ি জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।
কারাগার পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম ডিআইজি প্রিজন সগির ভূঁইয়া বলেন, কারারক্ষীদের গাফিলতির পাশাপাশি কারাগারের কাঠামোগত দুর্বলতাও রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে তিন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৪ সালে নির্মিত এই পুরোনো সাব-জেলটির কাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল অনেক আগেই। খুব দ্রুতই আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত করে কারাগারটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার মো. লাভলু বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার শাহাদত হোসেন জানান, তিন কয়েদী দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় একজনকে ভেতরেই আটক করা সম্ভব হয়। তবে দুইজন দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। পরে শহরের টিএনটি গেট এলাকা থেকে পলাতক রাজিব হোসেনকে পুনরায় আটক করা হয়। তবে অপর কয়েদী শফিকুল ইসলাম এখনো পলাতক রয়েছেন; তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে কারাগারের দক্ষিণ পাশে দেয়ালের পাইপ বেয়ে উঠে দুই হাজতির পালানোর ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র: বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর.কম।