স্টাফ রিপোর্টার:: পাহাড়ের সংঘাত জাতীয় নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত ইঙ্গিত করে সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেছেন, খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে পাহাড়কে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে ইউপিডিএফ। এর রেশ তিন পার্বত্য জেলায়ও পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, অপপ্রচার ও উস্কানীমূলক কর্মকান্ড সত্বেও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষায় রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতি-গোষ্ঠীর নিরাপত্ত নিশ্চিতে ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৈরী রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। জাতীয় নির্বাচনকে বানচালের জন্য ইউপিডিএফ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর গাড়ীতে হামলা তিন সৈনিককে আহত করেছে। তারা বহিরাগত সন্ত্রসীদের জড়ো করেছে,গুলি চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য ধৈয্যের পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
সাম্প্রতিক ঘটিনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা মতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর গুইমারায় গিয়ে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়িতে বলবৎ আছে ১৪৪ ধারা। শহরে ঢুকতে বা বের হতে মুখোমুখি হতে হচ্ছে তল্লাসির। জুম্ম ছাত্র-জনতার অবরোধ শিথিল থাকলেও চলছে না কোন অভ্যন্তরীন বা দুরপাল্লার গাড়ি। খাগড়াছড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও রামগড়ে বিজিবির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়নি।