স্টাফ রিপাের্টার:: মারমা স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে কেন্দ্র করে সংঘাতে গুইমারায় গুলিতে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে গতকাল রবিবার গুলিতে নিহতরা তিন জনই গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
নিহতরা হচ্ছেন,গুইমারার বটতলা পাড়ার বাসিন্দা হ্লাচাই মারমার ছেলে থোয়াইচিং মারমা (২৫), সাইংগুলি পাড়ার বাসিন্দা আপ্রু মারমা ছেলে আখ্র মারমা (২৪) ও গুইমারার হাফছড়ি গ্রাম লিচু বাগানের বাসিন্দা থোয়াইহ্লাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২)। এ নিয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে গুইমারা থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি- মো: এনামুল হক চৌধুরী।
নিহতদের লাশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের ময়না তদন্ত হয়নি বলে জানিয়েছে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জারীকৃত ১৪৪ ধারার মধ্যে উপজেলার খাদ্য গুদাম সংলগ্ন রামসু বাজারের মুখে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর সাথে পাহাড়িদের সংঘর্ষ এবং পরে তা স্থানীয় বাঙ্গালীদের সাথে সংঘাতে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন পাহাড়ি নিহতের ঘটনা ঘটে। আহত হয় ১৩ সেনা সদস্য এবং গুইমারা থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য। সংঘাত চলাকালে গুইমারার রামসু বাজারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেয় অসংখ্য পাহাড়ি-বাঙালীর দোকান পাট ও বাড়ি। এ সময় জ্বালিয়ে দেয়া হয় মোটর সাইকেলও। এতে স্থানীয় অনেক বাঙালী-পাহাড়ি আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় এখনো শর্তক অবস্থানে আছে প্রশাসন। খাগড়াছড়ি এবং গুইমারার ঘটনায় পাহাড়ি ও বাঙালীদের অসংখ্য মানুষ আহত হয়। ভাংচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিহতদের ময়না তদন্ত শেষে লাশ তাদের পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।