প্রতিনিধি গুইমারা:: খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে গতকাল অবরোধ চলাকালে গুইমারায় মোটরসাইকেল, দোকানপাট ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে ৩ পাহাড়ী নিহত হয়েছে এবং ১৩ জন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববারের ঘটনায় আজও গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্হিতি বিরাজ করছে। আজ সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমূখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি, পলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র্যার ৭ এর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
সরেজমিনে রামসু বাজার এলাকার গিয়ে দেখা যায় গতকাল হলুদ গোদাম ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর বাসভবনে দেওয়া আগুন এখনো জ্বলছে। মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদসস্যরা হলুদ গোমের আগুন নিভাচ্ছে।
আজ সকাল থেকে গুইমারা বাজারের কিছু কিছু দোকান খুলেছে তবে অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। ১৪৪ ধারা ও অবরোধ চলমান থাকায় সাধারন মানুষ রাস্তায় বাহির হচ্ছে না এবং দুরপাল্লার কোন যান বাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। স্বল্পপাল্লার কিছু সিএনজি ও অটোরিকশা চলছে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন গতকালের ঘটনার গুইমারাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।