আতঙ্ক এখন কাটেনি,থমথমে পরিবেশ খাগড়াছড়ি ও গুইমারায়।
স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘাতের পর আতঙ্ক কাটেনি এখনো। আজ সোমবার দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম-ঢাকা সড়কে শিথিল করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা সড়ক অবরোধ। জুম্ম ছাত্র-জনতা নিজস্ব পেইজ থেকে এ ঘোষনা দেয়া হয়।
সংঘাতের পর থেকে ১৪৪ ধারা জারিসহ শর্তক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। মাঠে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ,সেনাবাহিনী,বিজিবি,আর্ম পুলিশ কাজ করছে।
খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যেই শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুর খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে উঠে। পরে দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।
পর দিন রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ১৪৪ ধারার মধ্যে উপজেলার খাদ্য গুদাম সংলগ্ন রামসু বাজারের মুখে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর সাথে পাহাড়িদের সংঘর্ষ এবং পরে তা স্থানীয় বাঙ্গালীদের সাথে সংঘাতে রূপ নেয়। এ ঘটনায় তিনজন পাহাড়ি নিহতের ঘটনা ঘটে। আহত হয় ১৩ সেনা সদস্য এবং গুইমারা থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য।
সংঘাত চলাকালে গুইমারার রামসু বাজারে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেয় অসংখ্য পাহাড়ি-বাঙালীর দোকান পাট ও বাড়ি। এ সময় জ্বালিয়ে দেয়া হয় মোটর সাইকেলও। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় এখনো শর্তক অবস্থানে আছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি এবং গুইমারার ঘটনায় পাহাড়ি ও বাঙালীদের অসংখ্য মানুষ আহত হয়। ভাংচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ যে, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চয়ন শীল নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ওই কিশোর বর্তমানে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরো ২ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকে।
শনিবার সকাল থেকে অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাথে দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মহালছড়িসহ ৯ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক।