
"সিন্দুকছড়ি সেনাবাহিনীর অভিযান"
আবদুল মান্নান স্টাফ রিপাের্টার:: খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইসমাইল সামস আজিজীর নেতৃত্বে ৩টি টহল দল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় অস্ত্র তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ৪ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আসামি ও সকল সরঞ্জামাদি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইসমাইল সামস আজিজীর নেতৃত্বে ৩টি টহল দল ৩০ আগস্ট শনিবার সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় অস্ত্র তৈরির একটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আভিযানিক দল অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ৪ জন ব্যক্তিকে আটক করেন।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির মধ্যে ৬টি স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৫ রাউন্ড খালি কার্টুজ, ৫ রাউন্ড ভরা কার্টুজ, ১টি চায়নিজ কুড়াল, ২০টি দা, ২টি ওয়াকি-টকি ও চার্জার,১টি মাইক (মেগাফোন), ৪টি প্যারাশুট ফ্লেয়ার,অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ফয়েজ আহমেদ এর পুত্র কামরুল হাসান রেদোয়ান (৫০), সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকার মো. মোর্শেদ এর পুত্র মো. আশিক(২৫),কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. নুরুল আলম এর পুত্র রুমন (৪৫), নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ হাতিয়ার জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো.আমির ইসলাম (৪০)।
পরে উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও.সি) মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।