সন্দেহের তীর সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার দিকে।
স্টাফ রিপোর্টার:: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি তালাবদ্ধ গোপন কক্ষের ফাইল কেবিনেট থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই ২০২৫) দুপুরে পরিষদের নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তালাবদ্ধ ওই গোপন কক্ষটি খুলে নগদ টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।
পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া এই টাকাগুলো সদ্য দায়িত্ব হতে অপসারিত হওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার সময়কালে গোপন কক্ষটিতে রাখা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, কক্ষটি কেবলমাত্র সাবেক চেয়ারম্যাস জিরুনা ত্রিপুরা ব্যবহার করতেন এটি ছিল তার ব্যক্তিগত গোপন কক্ষ। আর ওই কক্ষের চাবি জিরুনা ত্রিপুরা ছাড়া আর কারো কাছে ছিল না। সেখানে প্রবেশে সবার জন্যই নিষিদ্ধ ছিল।

অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, “পরিষদে এতো নগদ টাকা থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কীভাবে এসব টাকা এই গোপন কক্ষে এলো তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত টাকাগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে উদ্ধারকৃত অর্থের উৎস, মালিকানা ও ব্যয়ের বৈধতা যাচাইয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিভিন্ন বদলী,নিয়োগ বাণিজ্যে ও কাজের বিপরীতে ঘুষের নেয়া টাকা প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় লুকিয়ে রাখা হলেও তা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ার কারনে টাকাগুলো আলাদা আলাদা ভাবে প্যাকেট ও বিভিন্ন বক্সে ফাইল কেবিনেটে লুকিয়ে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জিরুনা ত্রিপুরার চেয়ারম্যান পদ থেকে বিরত থাকার আদেশ জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।



সন্দেহের তীর সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার দিকে।
অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন