ডেস্ক রিপাের্ট:: মানহানিকর বক্তব্য ও খবর প্রচারের অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকি আক্তারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ জুলাই ২০২৫) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নূরে আলম এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘গত ২১ মে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে। একইসঙ্গে নতুনভাবে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করে। এক্ষেত্রে পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারার মামলা করা হয়েছিল। নতুন অধ্যাদেশে এই ধারার অভিযোগ না থাকায় আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।’’
এর আগে ২৩ এপ্রিল পিংকি আক্তারসহ চার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মানহানির মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মামলায় গৃহকর্মী পিংকি আক্তার ছাড়া ‘‘সকল খবর’’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোর্শেদ সুমন এবং ‘‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ এন্টারটেইনমেন্ট’’, ‘‘অনলাইন পোর্টাল পিপলস নিউজ’’ ও ‘‘ডিজিটাল খবর’’কে আসামির তালিকায় রাখা হয়।
গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমের আদালতে এ মামলা করেন পরীমণি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে তদন্ত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
মামলায় পরীমনি দাবি করেছেন, একটি সংস্থার মাধ্যমে গত ৫ মার্চ পিংকি আক্তার নামের এক গৃহকর্মীকে নিয়োগ দেন। গত ২৭ মার্চ তাকে ২০ হাজার টাকা বেতন দেন। পিংকি আক্তার গত ২ এপ্রিল তার বাসা থেকে চলে যান। এরপর থেকে পিংকি আক্তার তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট ও অশ্লীল তথ্য প্রচার করে আসছেন। পিংকি আক্তারের এমন বক্তব্যের কারণে অন্যরাও সেটি ফলাও করে প্রচার করছে।
পরীমনি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদগুলোর একটি তালিকা মামলায় উল্লেখ করেন। এছাড়াও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওর লিংকও মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন গৃহকর্মী পিংকি আক্তার। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ৮ মের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।